‘চিড়া-মুড়ি খেয়ে আর কত দিন চলব’, প্রশ্ন চা শ্রমিক দিলীপের
রেনু খাঁ বাউড়ির বয়স ৪০ ছুঁইছুঁই। স্বামী স্বপন বাউড়ি পৃথিবীর মায়া ছেড়েছেন অনেকদিন আগেই। ফলে বাগানে কাজ করে ছেলেমেয়েসহ ছয় জনের পরিবারকে একাই ভরণপোষণ করতে হয় এই চা শ্রমিককে।
রেনু কাজ করেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের চণ্ডিছড়া চা বাগানে। সেখান থেকে সপ্তাহে যে ‘হাজরি’ পান তাই তার বাঁচার অবলম্বন। প্রতি বৃহস্পতিবার তিনি সেই ‘হাজরি’র আশায় থাকেন। কিন্তু ছয় সপ্তাহ ধরে তার কোনো পারিশ্রমিক নেই। এই অবস্থায় সংসার নিয়ে ভীষণ বিপদের মধ্যে পড়েছেন তিনি।
রেনু খাঁ বাউড়ি বলছিলেন, “স্বামী নাই, যে সামান্য মজুরি পেতাম তাই দিয়ে কোনোমতে সংসার চালাতাম। কিন্তু এখন তাও বন্ধ হয়ে গেল। ছয় সপ্তাহ যাবত বেতন-রেশন না পাওয়ায় হাতে টাকাও নেই।
“বাজার থেকে কোনোরকমে আধা কেজি চিড়া কিনে এনে পরিবারের সবাই খেয়েছি। একবার খেলেও অন্যবারের কোনো ভরসা নেই আমার।”
তিনি বলেন, “বাগান কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের দ্রুত বেতন-রেশন না দেয় তাহলে আমরা না খেয়ে মারা যাব।”
একই অবস্থা চা শ্রমিক দুলন রিকি হাসনের। তার পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও তিন সন্তান। মজুরি না পেয়ে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- মজুরি
- চা শ্রমিক
- মানবেতর জীবনযাপন