ফেলানী থেকে স্বর্ণা দাস, সীমান্তে আর কত লাশ?
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৪,০৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, যা বিশ্বের ৫ম দীর্ঘতম সীমান্ত। এটি বাংলাদেশের ৬টি বিভাগ এবং ভারতের আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, মেঘালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যগুলোকে বিভক্ত করেছে। এ সীমান্ত এখন নানা সমস্যার বিষয় হয়ে উঠেছে। যেমন-চোরাচালান, অবৈধ অভিবাসন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন ইত্যাদি। বর্তমান বিশ্বে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। এ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা করা একটি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন পরপরই সীমান্তে এরূপ হত্যাকাণ্ডের খবরাখবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
ভারতের সঙ্গে ৬টি দেশের স্থল সীমান্ত রয়েছে। এগুলো হলো-চীন, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ। উপরোক্ত প্রত্যেকটি দেশের সীমান্তেই বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। তারা শুধু পেটের দায়ে শ্রমিক হিসাবে দুই মুঠো ভাতের আশায় দুই দেশের চোরাকারবারিদের মালামাল বহন করে দিয়ে থাকে। দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। উভয় দেশের বহু মানুষ নদীভাঙনের কারণে খেত-খামার ও জীবিকা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে। তারা উভয় সীমান্তে গবাদিপশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে অনেককে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয় অথবা হত্যা করা হয়। পণ্য পাচারের জন্য শিশুদেরও ব্যবহার করা হয়। কারণ তাদের ধরা পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এতে তারাও সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সীমান্তে নজরদারি
- সীমান্তে হত্যা