বোন টিবি বা হাড়ে যক্ষ্মা হলে বুঝবেন কীভাবে
হাড়ে কি যক্ষ্মা হয়? হ্যাঁ, হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলে বোন টিবি। এর বেশির ভাগই হয় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে যেমন ভারত, বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ায়। হাড়ে যক্ষ্মা হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ না করলে পরে জটিলতা বেড়ে হাড় ভেঙেও যেতে পারে।
হাড়ের যক্ষ্মা
যক্ষ্মা একটি জীবাণুবাহিত রোগ। যক্ষ্মা শরীরের বিভিন্ন অংশে হতে পারে, ফুসফুসে ও ফুসফুসের পর্দায় হতে পারে, অন্ত্রনালি, কিডনি, অস্থিসন্ধি ও লিম্প্ফনোডে হতে পারে। পাশাপাশি হাড়ে, বিশেষ করে মেরুদণ্ডের হাড়ে যক্ষ্মা হতে পারে। মেরুদণ্ডের হাড়ে যক্ষ্মা হলে এটিকে বিশেষভাবে পটস ডিজিজ বলা হয়ে থাকে। যক্ষ্মার জীবাণু সাধারণত ফুসফুস বা অন্য কোনো স্থান থেকে রক্তবাহিত হয়ে মেরুদণ্ডে বা হাড়ে পৌঁছায়। পাশাপাশি হাড়ের ভেতর প্রদাহও এটি করতে পারে। এটিকে বলা হয় অস্টিওমায়েলাইটিস।
লক্ষণ
হাড়ে বা মেরুদণ্ডে যক্ষ্মা হলে ওই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা, জ্বর, অরুচি, ওজন কমার মতো উপসর্গ দেখা যায়। ব্যথার কারণে রোগী পিঠ অতিরিক্ত সোজা করে হাঁটে। কখনো হাত দিলে মেরুদণ্ডে একটু ফোলা অংশ টের পাওয়া যায়। হাড় থেকে পরে মেরুদণ্ডের স্নায়ুতে চাপ প্রয়োগ করে, এমনকি প্যারালাইসিসও হতে পারে। শুরুর দিকে অনেক সময় এটি এক্স–রেতে ধরা না–ও পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক বিভিন্ন রক্ত পরীক্ষা ও টিবি–সম্পর্কিত পরীক্ষা করে নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। এমআরআই পরীক্ষায় সাধারণত এই রোগ ধরা পড়ে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- হাড়ের সমস্যা
- যক্ষা রোগ