অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ কম
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর হাসিনা সরকারামলে মামলা-জর্জরিত হলেও বহির্বিশ্বে বরেণ্য ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিভিন্ন সেক্টরে লোক নিয়োগে বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ, গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার অগণতান্ত্রিক এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে মেধাবীদের গুরুত্ব না দিয়ে গুডবুকে থাকা নিজদলীয় এবং অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য স্তাবকদের এসব পদে নিয়োগ দিয়েছে।
এদের প্রায় সবাই একতরফাভাবে আমি-ডামি মার্কা নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের অঘোষিত ডিকটেশন অনুযায়ী কাজ করে সরকারের ইচ্ছা পূরণ করেছে। সেই সঙ্গে সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং পোশকধারী বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই একদিকে যেমন হাসিনা সরকারকে সমর্থন দিয়েছে, তেমনই অন্যদিকে আর্থিকভাবে দুর্নীতি করে দেশে ও বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এ তালিকায় সাবেক সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারদলীয় রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। এ কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণরোষ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে ৫ আগস্ট, সরকারপ্রধানের পদত্যাগ ও প্রতিবেশী দেশে পলায়নের পর সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক পড়ে। আবার অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের পর দুর্নীতিবাজদের অনেককে পদ থেকে সরিয়ে দেয়, কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিতদের অগুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করে। এরপরও প্রতিটি সেক্টরে রয়ে যায় স্বৈরাচারী সরকারের অনেক দোসর, স্তাবক, চামচা ও তল্পিবাহক। এদের অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন, আবার অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন।