বন্যা পরিস্থিতি: এখনো পানিবন্দী ৫ লাখ মানুষ, মিলছে না ত্রাণ
ভয়াবহ বন্যার পানিতে এখনো গ্রামের পর গ্রাম ডুবে রয়েছে লক্ষ্মীপুরে। কিছু এলাকার পানি সামান্য কমলেও এখনো পানিবন্দী জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পর প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ঘরে ফিরলেও এখনো প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। বানভাসি এসব মানুষের অভিযোগ, তারা পর্যাপ্ত ত্রাণও পাচ্ছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত মৎস্য, কৃষি, গবাদিপশুসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি।
লক্ষ্মীপুর পৌর আইডিয়াল কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ছকিনা বেগম, শাহেদ আলীসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ‘৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন নিয়ে রয়েছি। বন্যার প্রথম দিকে দিনে তিনবার খাবার পেতাম।
দুবেলা ভাত ও খিচুড়ি এবং এক বেলা শুকনো খাবার। এখন আর আগের মতো খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক কষ্টে দিন কাটছে। পাশাপাশি ঘরবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কীভাবে সামনের দিন যাবে। সব অন্ধকার দেখছি।’
এমন অভিযোগ মিলেছে বাঙ্গাখা উচ্চবিদ্যালয়, রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিদের কাছ থেকে। তাদের দাবি, ত্রাণের জন্য তাদের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।
সদর উপজেলার হোগল ডহুরী গ্রামের শাহেদ মিয়া ও কুলছুম বেগম বলেন, ‘রাস্তার পাশে যারা রয়েছে। তারা বেশ কয়েকবার ত্রাণ পেয়েছে। আর যারা কিছু দূরে পানিতে ভাসছে, তাদের পাশে ত্রাণ নিয়ে কেউ যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত একবারও ত্রাণ বা কোনো সহায়তা পাইনি। অর্ধাহারে ও অনাহারে খুবই কষ্টের মধ্যে ছেলেমেয়ে নিয়ে দিন কাটছে। কবে এসব দুর্ভোগ কমবে। বন্যার পানিতে ২৫ দিন ধরে বন্দী রয়েছি। এখন পর্যন্ত হাঁটুর ওপরে পানি।’ ৩০ বছরেও এমন কষ্টের মধ্যে পড়েননি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।