নেতা হতে চাইলে ছাত্র–তরুণদের যা করতে হবে

প্রথম আলো ফাইজ তাইয়েব আহমেদ প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি যে পথে চলেছে, সেখান থেকেও উত্তরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শুধু স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনই ঘটেনি, রাজনীতি–সচেতন একটি তরুণ প্রজন্মের উন্মেষ ঘটেছে। যে মূলধারার রাজনীতি নিয়ে তারা এত দিন বিমুখ ছিল, সেই রাজনীতিতে এখন তাদের অংশগ্রহণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। নয়তো এ রাষ্ট্র আবারও পুরোনো রাজনীতির পথে হাঁটা শুরু করবে। তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা হচ্ছে।


তবে ছাত্র যুবাদের যাঁরা দীর্ঘ মেয়াদে সফল রাজনৈতিক নেতা হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চান বা জনতার নেতা হতে চান, তাঁদের কিছু বলতে চাই। আপনারা কৃষিকাজ শিখুন, রান্নাবান্না শিখুন, সাঁতার শিখুন, ড্রাইভিং শিখুন, সাইক্লিং, কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা, রাস্তা পরিষ্কার, বনায়ন ইত্যাদি কাজ শিখুন। ব্যাগ হাতে মুদি কিংবা কাঁচাবাজারে যান নিয়মিত। আপনার নিজের বেসিক ‘লাইফ স্কিল’ নেই, এমন পরিস্থিতিতে নেতা হতে চাইলে সেটা বুমেরাং হবে। আপনি নিজের কাজে অন্যের ওপর নির্ভর করলে, কোনো বিষয়েই দক্ষ হবেন না। পরনির্ভরতা দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তৈরি করে না।




অফিসে কাজের জন্য বেসিক ও মধ্যপর্যায়ে সফটওয়্যার টুলে দক্ষ হন। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট শিখুন, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সার্টিফিকেশন কোর্স করুন। নিজ নিজ পঠিত বিষয়ে পেশাগত অভিজ্ঞতা নিন। শিল্প খাতের সমস্যা নিয়ে নীতিভিত্তিক রিসার্চ করুন, অ্যাসাইনমেন্ট পর্যালোচনা করুন। এতে আপনি কী পারেন, সেটা বেরোবে। আপনি নেতা হলে এসব অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে কর্মীদের যোগ্যতা মাপুন। আনুগত্য কিংবা রাস্তার পারফরম্যান্স যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি নয়।


রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা বাড়ান। গ্র্যাজুয়েশন, পোস্টগ্র্যাজুয়েশন করুন। দিনের একটা ছোট অংশ হলেও পড়ার অভ্যাস করুন। স্টাডি সার্কেল করুন, পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতা, অর্থনীতি/বাণিজ্য পাতা, ইকোনমিস্ট বা সমমানের ফিচার পড়ুন। পেশাগত দক্ষতাহীন লোক ভালো নেতা হতে পারে না, নীতি গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারে না। তাই কিছুদিন হলেও চাকরি করুন বা উদ্যোক্তা হোন।


আপনি বিস্তর তত্ত্ব জানতে পারেন, কিন্তু আপনাকে দেশের সমস্যার সমাধানে টেকনোক্রেটিক সমাধান জানা লাগবে। তত্ত্ব জানাটাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োগও জানতে হবে। প্রতিটি সমস্যার সমাধানসূত্র জানতে হবে, দুটি সমস্যার মধ্যকার সূক্ষ্ম ও স্থূল পার্থক্য জানতে হবে। ছাত্রের বিশ্লেষণ সক্ষমতা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ভিত্তিক নীতি গবেষণা লাগবে।


রাজনীতির মাধ্যমে দেশের মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান করা লাগবে, দেশের ‘যাবতীয় সম্পদ ব্যবস্থাপনা’র স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাকে আনপ্লাগ করা লাগবে, বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাঝুঁকি সমাধান করা লাগবে। খাদ্যনিরাপত্তা, জ্বালানিনিরাপত্তা নিশ্চিত করা লাগবে। বিদ্যমান সেবাদানপদ্ধতি এবং প্রশাসনের কাজের আধুনিক ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন লাগবে। এর জন্য জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি লাগবে, পলিসি স্টাডি লাগবে। বিভিন্ন ভাষা জানতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও