পৌরসভার টাকায় খালের ওপর মেয়রের বহুতল মার্কেট
গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ত্রি-খালের মোহনায় বক্স কালভার্ট নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পানির স্রোতধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া, তিনি পৌরসভার অর্থব্যয়ে নিজস্ব বহুতল মার্কেটও নির্মাণ করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ১৮ আগস্ট এ অভিযোগ করেছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান।
মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, গৌরীপুর পৌরসভার সতিষা, পূর্বদাপুনিয়া ও বালুয়াপাড়ার তিনটি খালের মিলন হয়েছে বালুয়া খালে। এ তিনটি খালে সতিষা, নওয়াগাঁও, গুজিখাঁ, গাঁওগৌরীপুর, চকপাড়া, নয়াপাড়া, পূর্বদাপুনিয়া, পশ্চিমদাপুনিয়া, শালিহরসহ প্রায় ১৬টি গ্রামের পানি নিষ্কাশন হয়। খালের আকৃতি পরিবর্তন করে এর উপরে পৌরসভার টাকায় মেয়র ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণ করায় পানির স্বাভাবিক স্রোত বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে এ মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশণ না হওয়ায় তলিয়ে গেছে আমন ধানের জমি ও বীজতলা।
গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, মাহফুজুর রহমানের ভাইয়েরা আমার কাছে জমি বিক্রি করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি ইতোপূর্বে মামলা করেছেন। সেই মামলায় হেরে ব্যক্তিগত আক্রোশে তিনি আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। আমি পৌরসভার উন্নয়নে শতভাগ নিয়মনীতি মেনে কার্যক্রম করেছি। কোথাও কোনো দুর্নীতি হয়নি। তিনি আরও বলেন, বালুয়াপাড়া মোড়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বক্সকালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। আমার সেখানে কোনো ব্যক্তিস্বার্থ নেই। আমি যে মার্কেট করেছি, এটা আমার নিজস্ব ভূমি। সেখানেও পৌরবাসী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে উপকৃত হচ্ছেন।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- খাল দখল
- ভবন নির্মাণ
- বহুতল ভবন