ছোট্ট জাবিরের গুলি লাগে, কয়েক হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচাতে পারেননি মা–বাবা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৩৯

‘দৌড়ে এসে দেখি জাবিরের ঊরুতে গুলি লেগেছে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। রক্তে শরীর ভিজে গেছে বাচ্চাটার। ওর বাবা ওকে কোলে নিয়ে দৌড়াতে লাগলেন। পরে আমি ওকে কোলে তুলে নিই। ছুটে যাই হাসপাতালে। কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরেও বাঁচাতে পারিনি ওকে’—কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মা রোকেয়া বেগম।


গুলিতে নিহত জাবিরের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘জাবিরের বাবার কষ্টটা বেশি। মৃত্যুর আগে জাবির তাঁর হাতেই ছিল। কিন্তু ছেলের জন্য কিছুই করতে পারলেন না।’


৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ চলাকালে মা–বাবার সঙ্গে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা জাবিরের ঊরুতে গুলি লাগে। শিশুটির পুরো নাম জাবির ইব্রাহিম। বয়স ৬ বছর। মা-বাবার সঙ্গে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার পশ্চিম মোল্লারটেকে থাকত সে। স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে পড়ত। দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে জাবির সবার ছোট। বাবা কবির হোসেন রাজধানীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তরার জসীমউদ্‌দীন সড়কে ছিল জাবির। মা-বাবার সঙ্গে রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে বিজয় মিছিল দেখছিল সে। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয় ছোট্ট জাবির।



গতকাল শনিবার সকালে পশ্চিম মোল্লারটেকে জাবিরদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ফটকের সামনে বড় একটি ব্যানার ঝুলছে। তাতে লেখা আছে, ‘বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিজয় উল্লাসে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণে গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন জাবির ইব্রাহিম, আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সৌজন্যে: কোটা সংস্কারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ।’


সেখানে কথা হলো রোকেয়া বেগমের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাস্তায় আন্দোলনরত বাচ্চারা মারা যাচ্ছিল। মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘরে বসে সহ্য করতে পারছিলাম না। নিজেদের অপরাধী মনে হচ্ছিল। সিদ্ধান্ত নিই, পরিবারের সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের লংমার্চে অংশ নেব। ততক্ষণে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। রাস্তায় সবাই উল্লাস করছিল। আনন্দ মিছিল করছিল।’


বায়না ধরেছিল জাবির

মিছিল দেখতে জাবিরকে সঙ্গে নিতে চাননি। বাসায় দাদার কাছে ওকে রেখে যেতে চেয়েছিলেন বলে জানান রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, ‘জেদ করে জাবির। বলে, সঙ্গে যাবেই।’ অনেকটা বাধ্য হয়ে শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরায় জসীমউদ্‌দীন সড়কে মিছিল দেখতে যান।



সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও