প্রবাসী আয় কমছে, আরও কি কমবে?

প্রথম আলো মামুন রশীদ প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০৬

বিশ্বব্যাংকের গবেষণা এবং সংশ্লিষ্ট অনেক জরিপের তথ্যমতে, বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রবাসী রেমিট্যান্সের আকার ৪০ থেকে ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিজেই বলেছিলেন, এই সম্ভাব্য রেমিট্যান্সের শুধু ৫১ শতাংশ অফিশিয়াল বা বৈধ চ্যানেলে আসে। বাকিটা বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রায় নিষ্পন্ন হয় মূলত নগদ টাকায়, যাকে সুপরিচিতভাবে বলা হয় হুন্ডি।


এ ক্ষেত্রে মূল অভিযোগ হলো, হুন্ডির বৈদেশিক মুদ্রা কখনো দেশে আসে না, চলে যায় বিদেশে আর ব্যবহৃত হয় আন্ডার-ইনভয়েসিং বা মানি লন্ডারিংয়ে।


গেল তিন বছরে প্রতিবছর গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ থেকে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। শুধু কোভিডকালেই আমরা সম্ভবত হুন্ডি চ্যানেল বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেখেছি, ২৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। গেল দুই বছর বিনিময় হার নিয়ে নানা কসরত বা চাপাচাপি প্রবাসীদের অনেকটা হুন্ডিনির্ভর করে ফেলে।


প্রাথমিক পর্যালোচনা বা বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা ছিল একই মালিকানাধীন অনেক এক্সচেঞ্জ হাউসেরও। তাদের বৃহত্তর মালিকানায় অনেক ব্যাংক থাকায় তারা প্রবাসীদের আগাম ঋণ দিতে, এমনকি ঘরে ঘরে গিয়ে বিদেশি মুদ্রার বিপরীতে বেশি টাকাও পৌঁছে দেয়। সেই সঙ্গে অন্য কিছু এক্সচেঞ্জ হাউসও হাত মেলায়।



বিগত সরকার তথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাষ্ট্রীয়ভাবে সহজে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আমদানি ও বিদেশি দায় মেটানোর সুবিধায় টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ধরে রাখে। এতে অফিশিয়াল ও হুন্ডি চ্যানেলের দামে বিরাট ব্যবধান দেখা দেয়। অফিশিয়াল চ্যানেলে ডলার আসা অনেক কমে যায়। ইতিমধ্যে ক্রলিং পেগ বা অন্যান্য কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দামকে বাড়তে দেওয়া হলে অফিশিয়াল চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পায় এবং অফিশিয়াল ও হুন্ডির দামে পার্থক্য অনেক কমে আসে।


তবে গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং এতদসংক্রান্ত জটিলতায় রেমিট্যান্স আবার কমে আসে, এমনকি কোথাও কোথাও রেমিট্যান্স না পাঠানোর দাবিও ওঠে। জীবিকার দায়ে প্রবাসে যাওয়া বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী ব্যক্তিদের জন্য এটা যদিও সম্ভব নয়, তবুও প্রচুর হুন্ডি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এই সমস্যার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের সোনা কেনার হিড়িক। তাঁরা যদি বিদেশি মুদ্রায় রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে সোনার বার কিনে নিয়ে আসেন, শোনা যাচ্ছে তাতে যেমন তাঁরা একটু বেশি টাকা পান, সেই সঙ্গে বিদেশ থেকে আসা-যাওয়ার টিকিট এমনকি এয়ারপোর্ট থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার টাকাও উঠে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও