You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সহ্যশক্তি বটে সরকারের!

আমি যদি ভুল না করি, তবে মনে হয় রাজনীতি বা সরকার পরিচালনায় ‘জিরো টলারেন্স’ শব্দটি প্রথম সবচেয়ে বেশি শুনেছিলাম বিশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ফখরউদ্দিন আহমদের মুখে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। অর্থাৎ দুর্নীতিবাজদের একেবারেই সহ্য করা হবে না। তখন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার পর্যন্ত সব ক্ষমতাসীনরা একই ভূমিকায় আছেন। কাজীর গরুকে আর গোয়ালে পাওয়া যায়নি।

বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ইশতেহারে আওয়ামী লীগও অভিন্ন ধারাবাহিকতায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে। তারপর থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগ নেতারা চারপাশ দুর্নীতিতে ডুবন্ত অবস্থায় দেখেও কোনোরকম সম্পাদনা ছাড়াই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম উদ্ধৃত করে জিরো টলারেন্স ঘোষণার কথা বলে যাচ্ছেন। আরও একটি শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন, তা হচ্ছে ‘ছাড় দেওয়া হবে না’। এভাবে কখন যে ‘জিরো টলারেন্স’ আর ‘ছাড় দেওয়া হবে না’ শব্দগুলো বাস্তব ভিত্তি হারিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্যে পরিণত হয়েছে, মানুষ টেরই পায়নি।

একবার আমার এক ছাত্র প্রশ্ন করেছিল, স্যার, কোনো রাজনৈতিক নেতা কখনো বেফাঁস কোনো কথা বক্তৃতায় বলে ফেলে যদি বিব্রত হন, তখন তার সাথীরা বলেন ‘ও কিছু না, এটি রাজনৈতিক বক্তব্য’। তা হলে এই ‘রাজনৈতিক বক্তব্য’ কথাটির কী মানে দাঁড়ায়? আমি ওকে বলেছিলাম, রাজনৈতিক বক্তব্যের সহজ অর্থ হচ্ছে ‘মিছেকথা’। অর্থাৎ বক্তৃতার মঞ্চে বলতে হয় বলেন। এর কোনো তাৎপর্য বা সত্যাসত্য খোঁজার দরকার নেই।

রাজনৈতিক বক্তব্যও কখনো কখনো ভয়ানক কৌতুকপ্রদ হয়ে ওঠে। যখন বেনজীরকাণ্ড, মতিউরকাণ্ড প্রকাশ্যে এসে বুঝিয়ে দিল কী ভয়ানক দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজে, সরকার অসহায় হয়ে পড়েছে দুর্নীতি প্রতিহত করতে গিয়ে। ঠিক তেমন অবস্থায়ও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতারা জাবর কাটার মতো করে বলেই যাচ্ছেন ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।’ আমাদের ব্যস্ত নেতাদের কথা বলার সময় কি মেধা খরচের প্রয়োজন পড়ে না?

প্রকাশ্যে আসা বেনজীর, মতিউরদের ব্যাপারে দুদক প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর এবং অভিযুক্তরা বিদেশে পালিয়ে নিজেদের অপরাধী প্রমাণের পথ করে দেওয়ার পরও আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতা-মন্ত্রীদের কেউ কেউ আইনের ভাষা টেনে দুর্নীতিবাজ বলতে নারাজ ছিলেন। পাশাপাশি অপ্রাসঙ্গিকভাবে বিরোধী দলের নেতাদের দুর্নীতির কথা এ প্রসঙ্গে টেনে যেন নিজেদের আশীর্বাদপুষ্টদের অপরাধ আড়াল করতে চাচ্ছেন। অল্প কদিন আগে সংসদে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগের একজন বড় নেতা আমাদের চমকে দিলেন।

তিনি বেনজীর-মতিউরদের মতো দুর্নীতিবাজদের কঠিনভাবে সমালোচনা করলেন। বিস্ময়ের সঙ্গে ভাবছিলাম, তাহলে কি দুর্নীতিবাজদের ব্যাপারে সরকারি নীতি পালটে গেল! বেশিক্ষণ লাগল না বিস্ময়ের ঘোর কাটতে। তার বক্তব্য এমন, ‘মানুষ রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ বলে-এবার দেখুন কারা দুর্নীতিবাজ!’ আমি অধিকতর বিস্ময়ের সঙ্গে ভাবলাম, সত্যিই তো! এসব নেতা দুর্নীতিতে নয়-ঈশ্বরের আশীর্বাদে কেবল সম্পদ বাড়ান। কমিশন দিয়ে দিয়ে ক্লান্ত যারা, তারা জানেন ডালের মজা কতটা তলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন