কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

কম ভর্তুকি কৃষিতে প্রভাব ফেলবে

www.ajkerpatrika.com শাইখ সিরাজ প্রকাশিত: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:২৮

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আমরা যে ক্ষুধামুক্ত এই বাংলাদেশ দেখতে পাচ্ছি, আমি মনে করি এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশের কৃষক। এ ছাড়া গবেষক, কৃষি উদ্ভাবন এবং সরকারি সহায়তায় বাংলাদেশে কৃষি খাত উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।


দেশ ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে এবং ধানের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় চার গুণ। সবজি, ফল, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম উৎপাদনেও ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে আমাদের দেশ। বাংলাদেশের কৃষি খাত বর্তমানে নগরায়ণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বাস্তবতা সামনে রেখে উন্নয়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে।


বর্ধিত উৎপাদন, কৃষিপণ্যের গুণমানের প্রক্রিয়াজাতকরণ, জলবায়ু সহনশীল ফসল উদ্ভাবন এবং উন্নত কৃষি অনুশীলনসহ শস্য, উদ্যানবিদ্যা, প্রাণিসম্পদ, জলজ চাষ, সুনীল অর্থনীতির (ব্লু-ইকোনমি) বিকাশ এবং কৃষির আরও অনেক ক্ষেত্রে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে স্বাধীন বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর, পরিবর্তনগুলো খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। সারা দেশের অসংখ্য কৃষকের কথা শুনতে পেরেছি।


সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকারে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংসদে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। নতুন অর্থমন্ত্রীর প্রথম বাজেট আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার ২১তম বাজেট। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিবিষয়ক পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা; যা মোট বরাদ্দের ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ।


শস্য কৃষি খাতের জন্য রাখা হয়েছে মোট বরাদ্দের ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। আর ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, বন ও পরিবেশ, ভূমি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় কৃষিতে বরাদ্দ বেড়েছে। কিন্তু এবার বাজেটে কৃষি ভর্তুকির পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ২৬১ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে ৮ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা কম। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি, সার ও কৃষিযন্ত্রের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েই চলেছে। এ সময়ে ভর্তুকি হ্রাস খাদ্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


আমাদের প্রধান খাদ্য ভাতের জন্য ধানের উৎপাদন নির্ভর করছে ভর্তুকির ওপর। সার ও জ্বালানিতে সরকারের লাগাতার ভর্তুকিই কৃষককে ধান উৎপাদনে এখন পর্যন্ত প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছে।


বিবিএসের হিসাবে, বাংলাদেশ বছরে ৩ কোটি ৮০ লাখ টনের মতো চাল উৎপাদন করে। ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর (২০২৩-২৪) শেষে বাংলাদেশে চালের উৎপাদন ৩ কোটি ৬৩ লাখ টনে দাঁড়াবে। একই সময়ে ভোগের পরিমাণ হবে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টন; অর্থাৎ ভোগ আর উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য ১৩ লাখ টন। তবে আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ধান উৎপাদন কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে তেমন প্রভাব ফেলছে না।


আইএফপিআরআইয়ের ‘বাংলাদেশ অ্যাগ্রি ফুড সিস্টেম স্ট্রাকচার অ্যান্ড ড্রাইভার্স অব ট্রান্সফরমেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দেখা যায়, এক দশকে (২০০৯-১৯) বাংলাদেশে জীবনমান উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ভুট্টা, পাট, মাংস ও দুধ উৎপাদন। এরপরই রয়েছে কন্দাল ফসল, উদ্যান ফসল, ডাল ও তেল জাতীয় শস্য উৎপাদন এবং মৎস্য চাষ। তবে কৃষকের জীবনমানে সবচেয়ে কম প্রভাব ফেলছে ধান উৎপাদন। কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে ধান উৎপাদনের স্কোর হয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ১২।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও