![](https://media.priyo.com/img/500x/https%3A%2F%2Fimages.prothomalo.com%2Fprothomalo-bangla%252F2024-06%252Fe3697445-7380-4220-8e58-22d156e3f28b%252Fisrael_lebanon_border_AFP.jpg%3Frect%3D0%252C0%252C1536%252C1024%26auto%3Dformat%252Ccompress%26fmt%3Dwebp%26format%3Dwebp%26w%3D640%26dpr%3D1.1)
ইসরায়েলের কেন একটি ‘বানোয়াট বিজয়’ দরকার এখন
বাধ্যতামূলকভাবে মুখে হাসি আনতে হবে। আর তাকে উপস্থাপন করা হবে বানোয়াট জয়ের হাসি হিসেবে। আসলে বিষয়টা হলো গাজা থেকে সরে আসা।
ইসরায়েল কয়েক দিনের মধ্যেই ঘোষণা দিতে যাচ্ছে যে হামাসের সামরিক শাখাকে গাজার মাটি থেকে উৎখাত করা হয়েছে। আর তাই যুদ্ধে ইসরায়েলের জয় হয়েছে। জয়? আপনি যদি তা-ই মনে করেন, তাহলে তা-ই। আমি তো বলব, গাজা থেকে সরে আসাটাই হলো আসল বিষয়।
হামাসের সেনাদল শেষ হয়ে গেছে, এটা ঘোষণা করার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, গাজা থেকে ইসরায়েলের বেশির ভাগ সেনাকে সরিয়ে নিয়ে পুবের সীমান্তে নিয়োজিত করা। আর তা গাজার মতো আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল বিজয় পেতে লেবাননে অভিযান চালানোর জন্য। তবে এই বিজয় লাভটা আগেরটার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ হবে। আর তাই আমরা আশা করতে পারি যে ইসরায়েল সেই সব ঘোষণাই দেবে, যা সরকারের, সেনাবাহিনীর, সাংবাদিকদের এবং এর নাগরিকদের হৃদয়কে পরিপূর্ণ করে তুলবে। তাই বলে এটা ভুললে চলবে না যে গাজা থেকে সরে আসাটাই হলো আসল বিষয়।
একেকটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে আর আমরা সেখানে আরও গভীরে ডুবে যাচ্ছি। বলুন যে আপনি রাফায় হামাসের গোটা সেনাদলকেই পর্যুদস্ত করেছেন। আর এটাই তো আমাদের পুরোপুরি বিজয় থেকে এক চুল দূরে সরিয়ে রেখেছিল। ইসরায়েলের ভেতরে ও বাইরে যা কিছু ঘটেছে, তা লুকিয়ে-ছাপিয়ে বিজয় ঘোষণা করতে হবেই। কেননা, গাজা ত্যাগ করাই যে মুখ্য।
নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে গাজায় এখন পর্যন্ত কোনো বিজয় অর্জিত হয়নি, আগামী দিনেও হবে না। তবে যে রক্তভেজা গাছে ইসরায়েল উঠেছে, তা বেয়ে নিচে নামার জন্য একটা অজুহাত তো দরকার। কেননা, এই গাছ বেয়ে ওপরে ওঠাই তো উচিত হয়নি। সে জন্যই এখন একটা বানোয়াট বিজয় তৈরি করতে হবে।
হামাস সামরিকভাবে প্রচণ্ড একটা আঘাত খেয়েও টিকে আছে। তার চেয়ে বড় হলো, অন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে কূটনৈতিক, সামাজিক, নৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইসরায়েল পুরোপুরি না হলেও যথেষ্ট নাস্তানাবুদ হয়েছে। তারপরও দেশটির গণমাধ্যম প্রশংসার গীত গেয়ে চলেছে, যা ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা আপনাদের ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডএফ) গাজা উপত্যকায় যেসব ‘চমৎকার কাজ’ করেছে, তার বিবরণ দিয়ে চলেছে।
ইসরায়েল তার সবচেয়ে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ শুরু করার সময় যে অবস্থায় ছিল, যুদ্ধের শেষের দিকে এসে তার তুলনায় অপরিমাপযোগ্য খারাপ অবস্থায় পতিত হয়েছে। এমন নয় যে এই যুদ্ধের কোনো যৌক্তিকতা ছিল না, তবে যুদ্ধ তো এর ফলাফল দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়। আর ফলাফলও আগাম জানা ছিল: দিশাহীনভাবে আটকা পড়া, এমনভাবে ফিলিস্তিনিদের রক্তপাত ঘটানো, যেন তা পানি; অনেক ইসরায়েলি সেনার রক্ত ঝরানো, ইসরায়েলকে একটি অচ্ছুত রাষ্ট্রে রূপান্তর করা এবং এ সবকিছুই কোনো প্রাপ্তি ছাড়া।