ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে মামলা: কঠোর শাস্তি পাবে কি
সম্প্রতি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বা জামুকার সুপারিশে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সারা দেশে প্রায় ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করেছে। দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা জামুকায় পাঠায়। যাচাই-বাছাইকালে ভুয়া প্রমাণিত হওয়া ৮ হাজার জনের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্তের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যেসব নাম মুক্তিযোদ্ধাদের বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল, এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের আগে যেসব মুক্তিযোদ্ধার নাম তালিকায় আসেনি, সরকার তাঁদের আবেদনের সুযোগ দিলে সারা দেশ থেকে অসংখ্য আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদনে আওয়ামী লীগ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম তালিকাভুক্তির আবেদন করেছিলেন। ২০১৫-১৬ সালে আবেদনগুলোর যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল। সেই সময়ও নির্ভরযোগ্য কোনো প্রমাণ হাজির করতে না পারায় কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার আবেদন বাতিল করা হয়েছিল।