গরমে শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ের কাছে ফুটপাতে তরমুজ, আনারস ও পেঁপে কেটে বিক্রি করেন হুমায়ুন কবির। সোমবার সকাল ১০টায় তিনি বিক্রি শুরু করেন। কিন্তু তাঁর দোকানের ওপর যে ছাতা, তা তাঁকে রোদ থেকে রক্ষা করতে পারছিল না। রোদ–গরমে তিনি ঘামতে থাকেন। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘একপর্যায়ে শরীর দুর্বল লাগছিল। ভালো লাগছিল না। তাই দুপুরে মসজিদে গিয়ে দুই ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। রোদ কমে যাওয়ার পর আবার দোকানে এসেছি।’
বেশ কয়েক দিন ধরে দেশজুড়ে চলা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন এমন বিরূপ আবহাওয়ায়ও হুমায়ুন কবিরের মতো যাঁদের কাজের জন্য বাইরে থাকতে হচ্ছে।
তীব্র তাপপ্রবাহে অসুস্থতা ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। এ ধরনের অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য নির্দেশিকা তৈরি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশিকার বলা হয়েছে, দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার নিরাপদ পানি পান করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর পানীয় ও খাবার খাওয়া যাবে না। প্রয়োজনে দিনে একাধিকবার গোসল করতে হবে। গরমের সময় ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে। গাঢ় রঙিন পোশাক পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিতে হবে। কারও যদি অন্য কোনো অসুখ থাকে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।