কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

‘মহাক্ষমতা’র মহাপরিচালক

সমকাল প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১১:১৫

একের পর এক আজগুবি সিদ্ধান্ত, অদূরদর্শিতা, নানা অনিয়মের পথে পা রেখে বিতর্কের মুখে পড়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। অভিযোগ রয়েছে, মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিমের ‘একনায়কতন্ত্র’ ডোবাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে। ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন তিনি। অধীন কর্মকর্তাদের পরামর্শ উড়িয়ে দিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেন একা। এমনকি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই নিজের সিদ্ধান্ত প্রয়োগে ব্যতিব্যস্ত মহাপরিচালক।


কৃষি মন্ত্রণালয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হাতেগোনা। এর মধ্যে একজন মাসুদ করিম। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় নিজেকে ‘মহাক্ষমতাবান’ মনে করেন। সর্বশেষ ১০ রমজানে এসে বিতর্কে ঘি ঢালেন তিনি। ২৯ পণ্যের ‘মনগড়া’ দাম বেঁধে দিয়ে বাজার করে তুলেছেন অস্থির। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও বাজার-সংশ্লিষ্ট কাউকে ডাকেননি। এদিকে সুসম্পর্ক না থাকলে সাংবাদিক নাম শুনলেই বন্ধ হয়ে যায় তাঁর অফিসকক্ষের দরজা। ধরেন না সাংবাদিকের ফোন। সরকারি ওয়েবসাইট থেকেও হাওয়া করে দিয়েছেন তাঁর মোবাইল ফোন নম্বর।


ঢাকাসহ সারাদেশে এখন বন্ধ অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘কৃষকের বাজার’। বাজারে বাজারে ঝুলছে এক-দুই বছর আগের পুরোনো দামের তালিকা। প্রতিদিন ওয়েবসাইটে যে মূল্য তালিকা প্রকাশ করা হয়, তা-ও ভুলে ভরা। সারাদেশে ৬০০ জনবল এবং সব জেলায় কার্যালয় থাকলেও মাঠে নেই কোনো কর্মকর্তা। ৪০ বছরের তথ্যভান্ডার উধাও হয়ে গেছে অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে। দুটি ওয়েবসাইটে নেই একসময়ের ২৭১টি কৃষিপণ্যের বাজারমূল্য, ৮২ হাজার বাজারের তথ্য। কৃষকের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সদাই’ ওয়েবসাইট এবং দুটি মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে সেগুলো পরীক্ষামূলক চালু রেখেই আবার আড়াই কোটি টাকা খরচা করে একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরে ১৫৩ জনবল নিয়োগেও উঠেছে অনিয়মের বিস্তর অভিযোগ।


কৃষককে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও বাজার তদারকি করার কথা যাদের, সেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের এমন হযবরল পরিস্থিতিতে ঠকছেন কৃষক-ভোক্তা, আর সরকারের অপচয় হচ্ছে শত শত কোটি টাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও