কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

একাত্তরে গণহত্যার জাতিসংঘ স্বীকৃতি পেতেই হবে

সমকাল এ কে এম শহীদুল হক প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫১

প্রাচীনকাল থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জনপদে ‘জেনোসাইড’ বা গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দি পলিটিক্যাল টাস্কফোর্স’ পরিচালিত গবেষণায় ১৯৫৬ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্বে ৪৩টি গণহত্যা সংঘটিত এবং এতে অন্তত ৫ কোটি লোক নিহত হয়েছে। ইউএনএইচসিআর-শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ হাইকমিশনের মতে, ২০০৮ সাল পর্যন্ত গণহত্যায় আরও ৫ কোটি লোক গৃহহারা হয়েছে।  


গণহত্যায় অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা ও পশুত্বের কাছে মানবতা কীভাবে পদদলিত হয়– সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতিদিন শত শত ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধ হত্যার ঘটনা। বিশ্বের স্বঘোষিত বিবেকদের নীরবতা দেখে প্রশ্ন জাগে, এটা কি গণহত্যা নয়?


১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘে ‘দ্য কনভেনশন অন দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড পানিশমেন্ট অব দ্য ক্রাইম অব জেনোসাইড’ সিপিপিসিজি গৃহীত এবং ১৯৫১ সালের জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর হয়। ওই কনভেনশনের ২ নম্বর আর্টিক্যাল মোতাবেক গণহত্যার সংজ্ঞা এমন: কোন জাতি বা জাতিগত গোষ্ঠী বা ধর্মীয় কোনো গোষ্ঠীকে নির্মূল করার অভিপ্রায়ে নিম্নবর্ণিত পাঁচটি কাজের যে কোনো একটি করলে তা গণহত্যা বা জেনোসাইডের অপরাধ হবে–


১. জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের ব্যাপক হারে হত্যা করলে; ২. জাতিগোষ্ঠীর সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন করলে; ৩. কোনো জাতিগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিকভাবে ক্ষতিসাধন করার মানসে সুকৌশলে কোনো কর্ম পরিচালনা করলে; ৪. সদস্যদের প্রজনন ক্ষমতা বিনষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে; ৫. শিশুদেরকে  পিতা-মাতা, আত্মীয়স্বজন কিংবা নিজ জাতিগোষ্ঠী থেকে অন্যত্র সরিয়ে রাখলে।  


১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আন্দোলন করছিল, তখন ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নিয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা নিভিয়ে দেওয়া। তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কমী-সমর্থক ও আওয়ামী ভাবধারার প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাঙালি জাতিগোষ্ঠীকে চিরদিনের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করতে চেয়েছিল। ২৫ মার্চ রাতেই পাকিস্তান বাহিনী প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করে। আর ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত ৯ মাসে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও