অর্থনীতির রোগ সারাতে হলে

সমকাল মামুন রশীদ প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে প্রায় সব আলোচনায়ই উঠে আসে– মূল্যস্ফীতি, হুন্ডি, মানি লন্ডারিং, ডলার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া আর আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গ। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে বিষয়গুলো বাস্তবে কঠিন হলেও অনেক প্রাত্যহিক আড্ডার বিষয় হয়ে উঠেছে। আম জনতার মাঝেও এসবের চর্চা দেখা যাচ্ছে। আসলে প্রতিটা বিষয় আমাদের নিত্যকার জীবনকে এতটাই ছুঁয়ে যায় যে, এসব আলোচনা এড়ানো কঠিন।


ফলে এখন আম জনতার মুখেও শোনা যায়, আমাদের প্রধান সমস্যা হলো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া। অর্থনীতিবিদরা অবশ্য এসবের সমাধান দিতে একেবারেই ক্লান্তি বোধ করছেন না। অনেকটা গৎবাঁধা সমাধান এখন সর্বত্রই শোনা যায়– হুন্ডি কমাও, রেমিট্যান্স আনো, রপ্তানি বাড়াও, আমদানি কমাও ইত্যাদি। তবে এসব সমাধান বাতলানোর সময় এ ক্ষেত্রে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন কিংবা অপরাপর প্রতিযোগী দেশ কী করেছে, তা আমরা বিবেচনাতেই আনছি না। 


বাংলাদেশে বহুদিন ধরেই হুন্ডি চলছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র রূপ নিয়েছে। এ কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে শ্রম অভিবাসন রেকর্ড পরিমাণে বাড়লেও রেমিট্যান্স যা এসেছে, তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশ কম। অভিযোগ আছে, প্রবাসী বাংলাদেশিরা হুন্ডিতে বেশি রেট পেয়ে অফিসিয়াল চ্যানেলে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠান না। আর এ হুন্ডির কারবার যারা নিয়ন্ত্রণ করছেন, তারা দেশ থেকে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ হুন্ডি না কমার প্রধান কারণ টাকা পাচার বন্ধ না হওয়া। অনেকেরই প্রশ্ন- সরকার কি আজ অবধি হুন্ডি বন্ধে কোনো চেষ্টা করেছে? নাকি অনেকটা জোর করে ডলারের দাম কমিয়ে রেখে প্রকারান্তরে হুন্ডিকেই সাহায্য করা হচ্ছে? দেশে এখনও ডলারের অনেক রেট কাজ করছে।


আমাকে অনেকেই প্রশ্ন করেন, যারা টাকা পাচার করছে, তাদের ধরা কি খুব কঠিন? দুবাই-কুয়ালালামপুরে যারা বিনিয়োগ করে; কানাডা, যুক্তরাজ্যে যাদের বাড়ি আছে, তাদের কথা পত্রিকায় প্রায়ই প্রকাশিত হয়। তাহলে সরকার তাদের ধরতে পারছে না– এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?


যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্বব্যাপী অবৈধ অর্থের লেনদেন নজরদারি সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি তাদের ২০০৬-২০২০ পর্যন্ত হিসাবে দেখিয়েছে, ওই সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিবছর পাচার হয় প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা।


আশির দশকের শেষ আর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে ভারতের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, যতদিন হুন্ডিতে টাকা বেশি পাওয়া যাবে কিংবা সরকারের কাছাকাছি থেকে অতি সহজে টাকা উপার্জন করা যাবে, ততদিন হুন্ডি বন্ধ করা যাবে না। এখন সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে– তারা কি পাচারকারীদের সুযোগ করে দেবে, নাকি পুঁজি পাচার ঠেকাবে। এতে শক্ত অবস্থান নিলে তাদের আপন লোকদের পেটেই হয়তো গুঁতো পড়বে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও