কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

তত্ত্বাবধায়কের দাবির এবার ইতি ঘটা দরকার

প্রথম আলো শান্তনু মজুমদার প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৬

প্রথম আলো: অবশেষে সরকার নির্বাচন করেই ফেলল। এখন এই নির্বাচনকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?


শান্তনু মজুমদার: এই প্রশ্নটার মধ্যে একটা আক্ষেপ বা শ্লেষ আছে। আমার অবশ্য তা নেই। আমি মনে করি, এই নির্বাচনটা হওয়ার দরকার ছিল। সেটা হয়েছে। আপনি যদি জানতে চান এই নির্বাচন¦ সর্বাঙ্গ সুন্দর হয়েছে কি না, আমি বলব ‘না’। কারণ, বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি যেকোনো কারণে হোক নির্বাচনে আসেনি।


প্রথম আলো: অনেকেই বলেছেন, আওয়ামী লীগ আসলে কখনোই চায়নি যে বিএনপি নির্বাচনে আসুক। আবার অনেকে বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপি চালে ভুল করেছে। কিন্তু নির্বাচন হয়ে গেল...


শান্তনু মজুমদার: বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা দুটি আপস-অযোগ্য দাবি তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল। প্রথম দাবিটায় কেউ গুরুত্ব দিয়েছেন বলে মনে হয়নি। আর তত্ত্বাবধায়কের দাবির এবার ইতি ঘটা দরকার। এই দাবিটা বিপজ্জনক, অগণতান্ত্রিক এবং রাজনীতি ও রাজনীতিকদের জন্য চূড়ান্ত অসম্মানজনক। গণতন্ত্র পাঁচ মিনিটের জন্যও অগণতান্ত্রিক কারও হাতে শাসনক্ষমতা তুলে দেওয়া সমর্থন করে না। ভালো নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তি থাকলে বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সময়ের পরীক্ষিত পথগুলো অনুসরণ করা যেতে পারে।


অনির্বাচিত কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান নয়। যাঁরা এটা চালু করেছিলেন, তাঁরা ভুল করেছিলেন।


প্রথম আলো: বিরোধী দলের তাহলে উপায় কী? পড়ে পড়ে মার খাওয়া?


শান্তনু মজুমদার: সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দল হলো গভর্নমেন্ট ইন ওয়েটিং। তাদের সংবিধানসম্মত অধিকার আছে। একই সঙ্গে কর্তব্য আছে। ক্ষমতাসীনেরা যখন বিরোধীদের অধিকারগুলো লঙ্ঘন করে, তখন শুধু বিরোধী দল নয়; গণবুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের দায়িত্ব হলো গণতান্ত্রিক বিরোধীদের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা। আর বিরোধীদের মধ্যে যদি গণতান্ত্রিক শিকড় ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধসম্পন্ন দল না থাকে, তখন কী হবে? এটাও ভাবার ব্যাপার আছে।


প্রথম আলো: আমাদের সমাজ তো বিভক্ত। এক সুরে কথা বলার মতো লোক কোথায়?


শান্তনু মজুমদার: কেন নয়! বহু মানুষ বিরোধীদের সমর্থন দিচ্ছেন। তবে সরকারি দলের হলেই দানব এবং বিরোধী দলের হলে পরম পূজ্য, এহেন সমীকরণ অন্যায্য। বিএনপির দুই দাবি নিয়ে বিদেশ থেকে কিন্তু কোনো সমর্থন আসেনি। আর বাকি ছিল কূল-ভাসানো গণ-আন্দোলন। হামলা-মামলার কথা যতই বলা হোক; বাস্তবতা হচ্ছে বিরোধীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারেনি।


লোকের কষ্ট হচ্ছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তথাকথিত সিন্ডিকেট, টাকা পাচার, এমন অনেক ইস্যু আছে, যা দিয়ে সরকারকে জেরবার করে ফেলা সম্ভব। এগুলো ঠিকঠাকভাবে উত্থাপন করা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।


প্রথম আলো: আপনার কি মনে হয়, বাংলাদেশ একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে যাচ্ছে?


শান্তনু মজুমদার: আমি তা মনে করি না। আমি মনে করি, বাংলাদেশে উদারনৈতিক গণতন্ত্রকে লিখিত নীতি-আদর্শ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে ধারণ করা বিরোধী দলের অভাব আছে। এই বাস্তবতা সরকারি দলের কুপথগামী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে।


সব উত্তর ঔপনিবেশিক দেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে উঠতে সময় লাগবে। বাংলাদেশের মতো একাধিক নামে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতায় আসা দেশে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী নতুন শতক শুরুর কয়েক বছর পর থেকেই চলছে গণতন্ত্র-ঘাটতি। বাংলাদেশেও এটা চলছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও