শুধু তোষামোদকারী নয় এবার নিন্দুকের কথাও শুনুন

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৯

পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সেই কবেই বলে গেছেন, মানুষকে তৈলের ন্যায় ঠান্ডা করিতে আর কিসে পারে? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথা শতভাগ সত্য। তেল মানুষের মাথা যেমন ঠান্ডা করে, এরচাইতে বেশি ঠান্ডা করে মন। মোঘলাই থেকে ভর্তা, ভাজি, মুড়িমাখা কোনো খাবারই তেল ছাড়া খাওয়া কঠিন। তবে সব রান্নাতেই তেলের একটা মাপ আছে। মাত্রাতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে, সেগুলো আর সুখাদ্য ও স্বাস্থ্যকর খাবার থাকেনা। বরং হয়ে যায় অখাদ্য কারণ অতিরিক্ত তেলে বদহজম হয়, স্বাস্থ্যহানি ঘটে। অন্যদিকে তেল ছাড়া কলকব্জা চলে না, গাড়ির চাকা ঘোরে না, চুল চকচকে হয় না। কিন্তু সবখানেই তেল ব্যবহারের মাপ আছে। স্বাস্থ্য, কর্মক্ষেত্র কিংবা সরকার চালনাসহ কোথাও বাড়তি তেল মোটেই ভালো না।


কেন হঠাৎ তেল প্রসঙ্গ এলো, সেটা বলার আগে নির্বাচন নিয়ে দু’একটি লাইন বলতে চাইছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগ কেমন করে দেশ চালাবে, কতটা ক্ষমতা প্রদর্শন করবে, অর্থনীতির অবস্থা কেমন হবে, দলের নেতা-কর্মী বাহিনী, মন্ত্রী মহোদয় ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, দুর্নীতিবাজরা আরো কতটা শক্তিশালী হবে, মুদ্রাস্ফীতি বা প্রবৃদ্ধির হার কী হবে, এইসব আলোচনা এখন চলতেই থাকবে। আমি শুধু ভাবছি সেইসব মোসাহেবদের কথা, যারা এতগুলো বছর তেলের হাঁড়ি নিয়ে ঘুরেছেন, আবার ঘুরবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যাদের হাত কচলাতে কচলাতে চামড়া প্রায় উঠেই গেছে গত তিন মেয়াদে। চতুর্থবারে সেই তেলবাজদের কী হবে?


এই মোসাহেব শব্দটা উচ্চারণ করার সাথে সাথে মনে হলো হজো ব্যাটার কথা। আমার দাদা একজন আইনজীবী ছিলেন। কাজ থেকে অবসর নেয়ার পর নিজ গ্রামে এসে বাস করা শুরু করেছিলেন। দাদা নিজ হাতেই বাড়ির বাগান, গাছগাছালি, গোয়াল ঘর ইত্যাদির দেখাশোনা করতেন। তবে এইসব কাজ করার সময় তাঁর সাথে থাকতো হজো নামের একজন ব্যক্তি। দাদা তাকে রংপুরের ভাষায় ডাকতেন হজো ব্যাটা। হজো ব্যাটার কাজ ছিল দাদাকে সঙ্গ দেয়া এবং দাদা যে কাজ করবেন, তাতে সায় দেয়া।


হজো ব্যাটা আর দাদার কথোপকথনের দৃশ্যটা ছিল এরকম যে, দাদা বাড়ির বাগান ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর হজো ব্যাটা তাঁর পেছনে পেছনে নতজানু ভঙ্গিতে হাঁটছেন। যেতে যেতে হঠাৎ দাদা বললেন, “হজো এইবছর গাছে আম কিন্তু ভালই হইছে।” হজো সাথে সাথে বললেন, ”জি জি জ্যাঠো এক্কেবারে ঠিক কছেন। আম ভালই ফইলছে।” কিছুদূর এগিয়ে দাদা আবার বললেন, “নারে হজো আম কিন্তু সেইমতন ভালো হয় নাই, তুই কি কছিত“? দাদার প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই হজো ব্যাটা বলে উঠলেন, “সেইত্তো জ্যাঠো, সেইত্তো। গাছোত আমতো ভাল না হয়।” অন্য কোনো সময় দাদা গাছের নিচে বসে বললেন, হজো এইবছর বেশ গরম পইচ্ছে। তুই কেমন বুঝিসিত?” হজোর তাৎক্ষণিক জবাব “হয় জ্যাঠো ভালই গরম পইচ্ছে।” দাদা আবার বললেন, “নারে হজো এখনো সেইরকম গরম পড়ে নাই।”হজো ব্যাটা উত্তর দিলেন, “সেইত্তো দেইখবার পাছো জ্যাঠো, এখনও সেইমতন গরম পড়ে নাই।”

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও