কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

সংকট মোকাবিলার পথ পরিবর্তন প্রয়োজন

সমকাল ড. জাহিদ হোসেন প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭

২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতি একরকম ছিল আর বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল আরেক রকম। গত বছরের এই সময়ে বড় বড় অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ঘটেনি। বিশ্ব অর্থনীতি যতটা দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা ছিল, ততটা হয়নি। বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যতটা আশা করা হয়েছিল, তার চেয়ে কিছুটা বেশিই হয়েছে। যদিও ২০২২ সালের তুলনায় তা কিছুটা কম। তবে কোথাও মন্দা হয়নি। কোনো কোনো দেশে মন্দার কিছু লক্ষণ দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অনেক দেশে মূল্যস্ফীতিও কমেছে।


কিন্তু সে তুলনায় ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল অনেকটাই বিপরীতমুখী। এ পর্যন্ত যে হিসাবনিকাশ পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আগের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত বছরের শুরু থেকেই দেশে ডলারের সংকট ছিল। সেটা কাটেনি বরং আরও তীব্র হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ দেখলেই তা পরিষ্কার হয়। বছরজুড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গড়ে প্রতি মাসে ১০০ কোটি ডলার বা তার বেশি ডলার বিক্রি করেছে।


এর ফলে ধারাবাহিকভাবে ডলারের মজুত কমে গেছে। ডলার সংকটের কারণে ২০২২ থেকে আমদানির ওপর যেসব নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো গত বছরও বজায় রাখতে হয়েছে। এর ফলে প্রতিটি ক্যাটেগরিতে আমদানি ব্যাপকভাবে কমেছে। মূলধনি যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্যের আমদানি অনেক কমে গেছে। দেশের আমদানির ৮০ শতাংশের বেশি হয় এসব পণ্যে। এর ফলে ভোগ্যপণ্যের জোগানে টান পড়েছে ও শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এমনকি কৃষি খাত, যেখানে তুলনামূলক কম আমদানির প্রয়োজন হয়, সেখানেও প্রভাব পড়েছে। এমন প্রবণতা মূল্যস্ফীতি উস্কে দিতেও ভূমিকা রেখেছে।


গত বছরের শুরু থেকেই আগের বছরের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া আরেকটা বড় সমস্যা ছিল। তা হচ্ছে আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা। এ নিয়ে বছরজুড়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে।


কিন্তু খেলাপি ঋণের পরিমাণ  কমেনি, বরং আরও বেড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান, যাদের আর্থিক অবস্থা দুর্বল ছিল, তারা আরও বেশি দুর্বল হয়েছে। মূলধন ঘাটতিতে ভুগছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ব্যাংক খাতে এসেছে তারল্যের সংকট। সবকিছু মিলিয়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে ২০২৩ সাল বাংলাদেশের জন্য ভালো বছর ছিল না।


২০২৪ সালও আমরা সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা দিয়েই শুরু করেছি। মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৯ শতাংশের ওপরে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া টার্গেট পূরণ করতে গত ডিসেম্বরে রিজার্ভ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ডলার সংকট কেটে গেছে। কাজেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট ও আর্থিক খাতের ভঙ্গুরতা– এই তিনটি মিলিয়েই মূলত বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা। এগুলো নিয়েই আমরা ২০২৪ শুরু করলাম।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও