শিক্ষা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হবে কবে?

সমকাল ড. মঞ্জুরে খোদা প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৬

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও ধারা হচ্ছে, যে কোনো ইস্যুতে এক দল পক্ষে থাকবে, অন্য দল বিপক্ষে। নতুন শিক্ষাক্রমের বেলাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে কিছু মানুষের আলোচনায় দেখছি, তারা এই নীতির প্রচণ্ড দুর্বলতার দিকগুলো তুলে ধরছেন। সেটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন; নাগরিক মত তৈরির চেষ্টা করছেন। একে আমি ইতিবাচক মনে করি, সমর্থন করি। 


এর আগে যে সৃজনশীল, জিপিএ, জেএসসি প্রভৃতি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, তা কীসের ভিত্তিতে এবং কেন বাতিল করা হলো? কোন গবেষণার ভিত্তিতেই তা নেওয়া হয়েছিল, এর কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। নতুন শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারকরা দাবি করছেন, তারা তিন বছর গবেষণা করে নতুন এ পদ্ধতি প্রবর্তন করেছেন। দাবি করেছেন, এটা নিয়ে অনেক দিন ধরে তারা কাজ করছেন। সেটাই যদি হয়, তাহলে এই নীতি নিয়ে সমাজে এত বিতর্ক, প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি কেন?


ধরে নেওয়া যায়, আগের কথিত সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ব্যর্থতার পর এই নীতি প্রচলন করা হলো। এর ফলাফল কী হবে, তাও হয়তো আগের মতো ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে এক্সপেরিমেন্ট করা কতটা যৌক্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত? এর উত্তর কি তাদের কাছে আছে? শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে পরিবর্তন একটি নিয়মিত বিষয়। কিন্তু বর্তমানে যা চলছে তাকে কিছুটা তুঘলকি বলা যায়। নীতিনির্ধারকরা যেটা ভাববেন, করবেন, সেটাই চূড়ান্ত কেন? কেন কোনো বিকল্প ভাবনা-প্রস্তাবনা থাকবে না? কেউ করলে তাঁকে কেন প্রতিপক্ষ মনে করা হবে? শিক্ষা তো কোনো পক্ষ, শ্রেণির বিষয় নয়। তা সবার। তাহলে এটি নিয়ে আলোচনা বা বিতর্ক করতে সমস্যা কোথায়? সংসদে যেমন কোনো বিল-বিষয় নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক হয়; এ ক্ষেত্রে সমস্যা কোথায়?  
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘শিক্ষা উন্নয়ন, শিক্ষা গবেষণা, শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগ’ আছে। এই ডিপার্টমেন্টের কাজ কী? তাদের তো বাংলাদেশের ‘শিক্ষা-সংকট-উন্নয়ন’ প্রভৃতি বিষয়ে কথা বলতে শুনিনি। বিকল্প প্রস্তাবনা কখনও হাজির করেছেন বলে শুনিনি। আবার সরকার এসব বিভাগের শিক্ষক-গবেষকদের যে কাজে লাগাবে, সেটাও করছে না! এটা কি বিস্ময়ের বিষয় নয়?   


আমাদের দেশে শিক্ষার সংকটের একটি বড় কারণ যতটা না শিক্ষানীতি ও পদ্ধতির, তার চেয়ে বড় হচ্ছে শিক্ষা প্রশাসনের। দেশে অনেক অন্যায়-অপরাধ হয়; তার কোনো শাস্তি হয় না। অপরাধীরা, সমাজবিরোধীরা ক্ষমতাবান হয়ে উঠছে। সেটা কি আইনের সংকটে, না শাসক ও শাসনের দুর্বলতার কারণে? দেশে শিক্ষাসংক্রান্ত সংকটের একটি বড় কারণ গুণগত শিক্ষা কার্যকর করার মতো উপযুক্ত নেতৃত্ব ও পরিবেশের অভাব– সে কথা কি সংশ্লিষ্টরা অস্বীকার করতে পারবেন?   

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও