মার্কিন নিষেধাজ্ঞা স্নায়ুযুদ্ধের নতুন রূপ

দেশ রূপান্তর মনোয়ারুল হক প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৫

ট্রাম্পের পথই অনুসরণ করছেন জো বাইডেন। বিশ্ব রাজনীতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয়ের রণকৌশল একই রকমের। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কর্র্তৃত্ববাদ তাদের লক্ষ্য। তাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারিত হয় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে। ট্রাম্পের বিদায়ের পর ধারণা করা হচ্ছিল, নতুন বিশ্ব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাইডেন ট্রাম্পের নীতি অনুসরণ করছেন। বিশে^র অন্যান্য অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে পুরনো কায়দায় দ্বন্দ্বে লিপ্ত হচ্ছে। চায়না ও রাশিয়ার সঙ্গে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুসৃত নীতি বাস্তবায়ন করছে। বাহ্যিকভাবে কিছুটা পার্থক্য বিশ^ রাজনীতিতে ঘটানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু তা খুব কার্যকর কিছু নয়। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার দ্বন্দ্বে সরাসরি ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে বাইডেন। মার্কিন অস্ত্র সেখানে যুদ্ধের প্রধান চালিকাশক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল, যা পরিশেষে আরেক দফা ইরাক-সিরিয়ার মতো ব্যর্থ হিসেবেই প্রমাণিত হলো।


বিশে^র ১০০ দেশ নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘গণতান্ত্রিক সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো মূলত বর্তমান মার্কিন বৈদেশিক নীতির সহযাত্রী ও সমর্থক। এই সম্মেলন থেকে বাংলাদেশকে দূরে রাখা হয়েছে। এর কারণ হতে পারে, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে সরে এলে চীন সেই প্রকল্পে অর্থায়নের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কার্যকর সখ্যতা অর্জন করে এবং তা অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সুখকর নয়।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল যাবৎ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয়ই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলত তাদের অস্ত্র বাণিজ্যের স্বার্থে। এই ধারা থেকে ডোনান্ড ট্রাম্প বেরিয়ে এসে ভারতের মোদির সরকারের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। উদ্দেশ্য, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সামরিক সহায়তার সম্পর্কে ভাগ বসানো। ভারতের সঙ্গে চীনের সাম্প্রতিক বৈরিতাকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প সেখানে মার্কিন স্বার্থের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেন। গত মার্কিন নির্বাচনে মোদি প্রকাশ্যে ট্রাম্পের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। কিছুটা হলেও জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তারপরও অর্থনীতির ক্ষেত্রে যে প্রতিযোগিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা চীনের সঙ্গে শুরু হয়েছে তার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছেছে। চীন চিন্তার সক্ষমতায় এখন ক্ষেত্রবিশেষে মার্কিনিদের ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন। টেকনোলজির দিক থেকে চীন অনেক বেশি অগ্রসরমান। এমনি একটি অবস্থায় মার্কিন পলিটিশিয়ানরা চীনের উত্থান মেনে নিতে পারছে না। সে কারণে মার্কিন প্রশাসনের সর্বস্তরে চীন বিরোধী আবহ তৈরি হয়েছে। তারই অনুসরণে পৃথিবীর নানা দেশে নানা বৈদেশিক নীতি সৃষ্টি হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও