কপ২৮ সম্মেলন: বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

www.ajkerpatrika.com মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৬

এ বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন ‘কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস ২৮’ সংক্ষেপে ‘কপ২৮’। সম্মেলনে এবার অংশ নিয়েছেন ১৯৮টি দেশের শীর্ষ নেতারাসহ প্রায় ৭০ হাজার অংশগ্রহণকারী, যার মধ্যে ১৪০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরাও রয়েছেন। অতীতের যেকোনো সময়ে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের চেয়ে এটি বড় সম্মেলন। তাই এই সম্মেলন ঘিরে সারা বিশ্বের নেতাদের কাছে বিশ্বের মানুষের ছিল অনেক প্রত্যাশা। বাংলাদেশের মানুষেরও প্রত্যাশা—বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত বিপন্ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম অবস্থানে থাকায় এই সম্মেলনে এ দেশের প্রতিনিধিরা কার্যকর ভূমিকা পালন করে এ দেশসহ সারা পৃথিবীর জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন, জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল ও প্রযুক্তি সহায়তাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন।


সম্মেলনে যাওয়ার আগে ঢাকায় ৩১টি সংগঠন যৌথভাবে ‘কপ২৮ জলবায়ু সম্মেলন: সরকার ও নাগরিক সমাজের অভিমত’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে। সেই সেমিনারে পূর্বের জলবায়ু সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার প্রাক্‌শিল্পযুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটা ক্ষয়ক্ষতি বা লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য পৃথক তহবিল গঠনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ধনী দেশগুলোর সম্মত হওয়া। জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলের কাছে বক্তারা কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরেন।


সুপারিশগুলো ছিল:


১. কার্বন নিঃসারণকারী বড় দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নিঃসারণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং সে বিষয়ে তাদের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে;


২. একটি আলাদা লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল গঠন করতে হবে;


৩. জলবায়ু অর্থায়নের একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যা হবে অনুদাননির্ভর, ঋণনির্ভর নয় এবং


৪. জলবায়ু পরিবর্তনে অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোকে রক্ষায় বিশেষ সহায়তা দিতে হবে।


কপ২৮ সম্মেলনে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছেন। এসব দাবির মধ্যেই স্পষ্ট করা হয়েছে কপ২৮ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের প্রত্যাশা।


দাবিগুলো ছিল: ১. প্যারিস চুক্তির ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সীমাবদ্ধ রাখতে ২০৩০ সালের জন্য কার্বন নিঃসারণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতির উচ্চাকাঙ্ক্ষা সাত গুণ বেশি হওয়া দরকার। এ বিষয়ে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তির লক্ষ্য পূরণের দিকে সম্মিলিতভাবে কোথায় কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে এবং কোথায় হয়নি, তা খতিয়ে দেখতে হবে। কার্যক্রমের অগ্রগতির মূল্যায়নসহ ভবিষ্যতের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও বৈশ্বিক মজুত থেকে সুনির্দিষ্ট মাইলফলকসহ স্পষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চায় বাংলাদেশ; ২. প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশকে উন্নত দেশগুলোর প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করতে হবে। সবুজ জলবায়ু তহবিল (জিসিএফ), স্বল্পোন্নত দেশের তহবিল (এলডিসিএফ), অভিযোজন তহবিল (এএফ) এবং জিইএফ ট্রাস্ট তহবিলকে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান দিয়ে শক্তিশালী করতে হবে এবং সেই তহবিলের প্রবেশাধিকার দ্রুত ও সহজ করতে হবে; ৩. প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে অভিযোজন ও প্রশমন এবং অনুদানভিত্তিক অর্থায়নের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ৫০: ৫০ বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশের প্রস্তাব হলো, এনএপি বা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অভিযোজন তহবিল দ্বিগুণ করা দরকার। কপ-২৬ সম্মেলনে ২০১৯-২০১৫ সময়ের জন্য উন্নত দেশগুলোকে যে ‘কল টু ডাবল অ্যাডাপটেশন ফাইন্যান্স’-এর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছিল, তার অধীনে পর্যাপ্ত অর্থসহায়তা প্রদান করতে হবে। কপ২৮ সম্মেলনে নেতারা অভিযোজন তহবিলের জন্য ১৬৯ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা এ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রায় অর্ধেক।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও