দুবাইয়ের জলবায়ু সম্মেলন: সাম্রাজ্য পতনের ইঙ্গিত

সমকাল নাভিদ সালেহ প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:২২

শেষ হলো কপ২৮-এর জলবায়ু সম্মেলন। দুবাইয়ের চকচকে শহরে আবুধাবি জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান সুলতান আল জাবেরের নেতৃত্বে এক পোশাকি ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ভাবনা অনেকটা এমন, অসত্যের পথে যারা রয়েছে; জ্বালানি তেল উত্তোলন, সরবরাহ ও ব্যবহার যারা করছে; এ পৃথিবীকে উষ্ণায়নের পথে প্রতিদিন যারা এগিয়ে দিচ্ছে; তারা যদি আলোচনার টেবিলে বসে তাহলেই অভিনব সমাধানে দ্রুত পৌঁছানো সম্ভব। মেগাফোন হাতে সত্য ভাষণের আনন্দ মিছিল করলেই যেন জলবায়ু বাস্তবতার ফানুস বাতাসে মিলিয়ে যাবে। সে সত্য ভাষণটি আবার এমন: আল জাবেরের ভাষায়, অংশগ্রহণকৃত রাষ্ট্রগুলো যদি জ্বালানি তেলের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসার প্রত্যয় নেয়, তবে আজকের আধুনিক জীবনযাপন গুহাবাসী অতীতের অন্ধকারে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। জলবায়ু সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে আরও অর্থ ব্যয় করে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। চর্চিত জীবন আচারের পরিবর্তন নিষ্প্রয়োজন। জ্বালানি তেল প্রজ্বালনের রাস উৎসব চললে কোনোই বিপত্তি নেই। এ কি সত্য ভাষণ? ইতিহাস কি আমাদের অমিতব্যয়িতা, প্রাচুর্য আর মানুষের পরিবেশবিচ্ছিন্ন দানবীয় উদ্ভাবনী ক্ষমতার জয়োৎসবের ইঙ্গিত দেয়? কার কাছে সত্য গোপন করছি আমরা? এ পৃথিবী থেকে পালিয়ে কোথায় যাব আমরা? কোথায় বুর্জ খলিফার মতো ইমারত গড়বে আরব আমিরাত?   


জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিচলিত পৃথিবী দুটি ধারায় বৈশ্বিক সহযোগিতা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, অন্যটি রাজনৈতিক। বিজ্ঞানভিত্তিক ধারায় ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ-আইপিসিসি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সবচেয়ে সাম্প্রতিক রিপোর্টটি এই ধারায় চতুর্থ, যা ২০২৩-এর মার্চে প্রকাশিত হয়েছে। দ্বিতীয় রাজনৈতিক ধারায় ১৯৯২ সালে ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রণীত হয়, যা বাস্তবায়নের জন্য রচিত হয়েছে কিয়োটো প্রটোকল এবং পরে ২০১৫-তে প্যারিস এগ্রিমেন্ট। ১৯৯৫ সালের বার্লিন সম্মেলন থেকে শুরু করে প্রতি বছর স্বাক্ষরকারী দেশগুলো একত্রিত হয় কনফারেন্স অব পার্টিস বা কপ সম্মেলনে এই রাজনৈতিক কাঠামোতে বর্ণিত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায়। এ বছরে দুবাইতে এর ২৮তম মিলনমেলা বসেছে। তাই এর নাম কপ২৮।  


এই মিলনমেলায় জড়ো হয়েছেন ১৯৭টি দেশের রাজনৈতিক প্রতিনিধি, তাদের জাতীয় পর্যায়ের জলবায়ু বিজ্ঞানী, উদ্ভাবকসহ এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে হাত মেলাতে এক টেবিলে আলোচনায় বসতে প্রাইভেট জেট বিমানে উড়ে এসেছেন পৃথিবীর বৃহৎ জীবাশ্ম জ্বালানি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। তাদের সময় অত্যন্ত মূল্যবান। তাই ব্যক্তিগত বিমানের জ্বালানি পোড়ানো অত্যাবশ্যক ছিল। তাদের মতে, এই অতিরিক্ত কার্বন উদ্‌গিরণ উষ্ণায়নে অবদান রাখবে না। ভাবনা অনেকটা এমন: ডায়াবেটিসের রোগী যদি শবেবরাতের হালুয়া কিংবা পূজার মিষ্টান্ন সেবন করেন, তবে তাঁর কোনো ক্ষতি হতে পারে না। এটি নেসেসারি এভিল। দুবাই শহর ভেসে গেছে বাহারি রঙের ব্যানারে। ব্যানারে অ্যাডনক লিখেছে: ‘ডিকার্বনাইজিং। দ্রুত। একত্রে।’ ঝকঝক করছে পথঘাট, হোটেল, রেস্তোরাঁ। দৈনিক ২৫০,০০০ কিলোওয়াট-আওয়ার শক্তি ব্যয় করে যে বুর্জ খলিফা ইমারত, সেখানে লেখা উঠছে: ‘অ্যাকশন, আশা তৈরি করে’। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও