কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

You have reached your daily news limit

Please log in to continue


নির্বাচন কমিশন কোনো আস্থার জায়গা সৃষ্টি করতে পারেনি

আলী ইমাম মজুমদার সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) পরামর্শক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

আলী ইমাম মজুমদার: নির্বাচন নিয়ে আমার অনেক প্রত্যাশা ছিল। কারণ অনেক দিন ধরে দেশে একটা সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও পক্ষপাতহীন নির্বাচন হচ্ছে না। এ ঘটনা ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে হয়ে আসছে; মানে অনেকটাই একতরফাভাবে নির্বাচন হচ্ছে। শাসক দলের প্রতি জনগণের আস্থা আছে কি না, সেটার কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না। আমার প্রত্যাশা ছিল, এবার সেটা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমি দেখতে পাচ্ছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতিই বিরাজমান নয়।

প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনের বাইরে আছে। দলটি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে, তার ব্যবস্থা সরকার আগে থেকেই করে রেখেছে। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দলটির কেন্দ্রীয় অধিকাংশ নেতাই কারাবন্দী। কর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ধরনের অবস্থা হতাশাজনক।

বিএনপি ছাড়া নির্বাচন হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কি গ্রহণযোগ্যতা পাবে?

আলী ইমাম মজুমদার: এই নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি না, সেটা আমি বলতে পারছি না। তবে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলো অংশগ্রহণমূলক এবং আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও কিন্তু বলছি, আন্তর্জাতিক মানের না হলেও, অন্তত আমাদের দেশের মানের মতো নির্বাচন হোক। আমাদের দেশে ১৯৭০, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছিল, সে রকমভাবে অন্তত এবারের নির্বাচনটা হোক, তা আমরা চেয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারছি, ওই রকম মানের নির্বাচন এবারও হবে না।

আপনার কেন এটা মনে হচ্ছে?

আলী ইমাম মজুমদার: মনে হচ্ছে, এ কারণে যে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। বাকি যে দলগুলো অংশগ্রহণ করছে, তারা তো আওয়ামী লীগেরই শরিক দল। আর জাতীয় পার্টি তো আগে থেকেই তাদের শরিক দল ছিল। এবার তারা আলাদাভাবে নির্বাচন করবে। যদিও জাতীয় পার্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। এরশাদের সময়ে জাতীয় পার্টি যে অবস্থায় ছিল, বর্তমানে সে অবস্থায় নেই। তারা শুধু রংপুর বিভাগের দু-একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থায় আছে। আর নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ তো জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের আসনটি ছেড়ে দিয়েই রেখেছে। এ কারণে এই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না।

একতরফা নির্বাচনেও কি নির্বাচন কমিশন আস্থা অর্জন করতে পারবে?

আলী ইমাম মজুমদার: আস্থা অর্জন করার প্রশ্নই আসে না। বেশ কিছু কাজকর্মের মধ্য দিয়ে তারা ইতিমধ্যেই আস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি পার্টিকে তারা রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে, যাদের কোনো ধরনের যোগ্যতাই ছিল না নিবন্ধন পাওয়ার। যেমন বিএনএম ও তৃণমূল বিএনপি। তৃণমূল বিএনপি তৈমূর আলম খন্দকার ও শমশের মুবিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন পার্টি। যাঁদের কোনো ধরনের জনসম্পৃক্ততা নেই।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতি করে যাচ্ছে, কিন্তু এ রকম কিছু দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায়নি, যেমন—মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলন ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনসহ বেশ কয়েকটি দল। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের বদলির নামে যে তামাশা চলছে—এসব দিয়ে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার প্রমাণ রাখতে পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ নেই, সেখানে অন্য সব অপ্রয়োজনীয় কাজ করা হচ্ছে। এতে অযথা রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় হচ্ছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন