দুর্ঘটনার দায়: শোক করার অধিকারটুকুও কি থাকবে না?

প্রথম আলো প্রতীক বর্ধন প্রকাশিত: ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৮

নূর এ আলম তৈমুর। একজন চলচ্চিত্রনির্মাতা এবং বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মকর্তা। তৈমুরের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল না; কিন্তু সে আর আমি একই বিভাগের ছাত্র। আমাদের মধ্যে কালের ব্যবধান ছিল ছয় বছর। ফলে তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি নেই, কিন্তু ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা যে বক্তব্য দিলেন, তা নিয়ে এ লেখা।


ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর পর পুলিশ সচরাচর যা বলে থাকে, এখানেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। যেন অনেকটা দায়সারাভাবে বলে দিল, তৈমুর কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন ধরে হাঁটছিল। এ কারণে পেছন দিক থেকে আসা ট্রেনের শব্দ সে শুনতে পায়নি। রেলওয়ে পুলিশের সেই বক্তব্য আমাদের সংবাদমাধ্যমগুলো হুবহু ছেপে দিল, প্রাথমিকভাবে একটু অনুসন্ধান করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করল না।


কিন্তু পরবর্তীকালে তৈমুরের স্ত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা গেল, বিষয়টি মোটেও সে রকম ছিল না। বরং আমরা জানতে পারছি, মধ্যবয়সী এক নারী রেললাইনের একদম কাছে চলে গিয়েছিলেন। তখন একদিক থেকে ট্রেন আসছিল। সেই নারীকে বাঁচাতে ছুটে যান তৈমুর। সেই নারী রক্ষা পেলেও বিপরীত দিক থেকে আসা অপর ট্রেনে কাটা পড়েন তৈমুর। আরও অবাক করার বিষয় হচ্ছে, তৈমুরের ল্যাপটপ, মানিব্যাগ, মুঠোফোন কোনো কিছুই খোয়া যায়নি অথচ রেলওয়ে পুলিশ কর্মকর্তার ভাষ্যের সেই হেডফোন সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি।


তৈমুরের স্ত্রী সৈয়দা মাসনুনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৭ সালে আমাদের সংসার শুরু হয়। সংসারজীবনে আমি কখনো দেখিনি হেডফোন দিয়ে ওকে মোবাইলে গান শুনতে। মিটিং করতে খুব প্রয়োজন হলে সে ইয়ার বাড ব্যবহার করত। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলটি পেয়ে তখনই নম্বর, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ সব চেক করেছি। দুর্ঘটনার আগপর্যন্ত মঙ্গলবার কারও সঙ্গে ওর যোগাযোগ হয়নি। তাহলে কানেই বা ফোন থাকবে কেন রেললাইন অতিক্রমের সময়?’


অর্থাৎ দুর্ঘটনার দায় এককভাবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তির ওপর চাপানো হলো। এর মধ্য দিয়ে যাঁরা মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত, তাঁরা নিজেদের দায় এড়িয়ে গেলেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও