চুইংগাম চিবালে মানসিক চাপ দ্রুত কমে! আরো জানুন ৬ উপায়
মানসিক অসুস্থতা একটি অদৃশ্য রোগ যা কাউকে সহজে প্রকাশ করা বা ব্যাখ্যা করা যায় না। কিন্তু মানসিক চাপ বা মানসিক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
আজকাল একটি সাধারণ রোগ হল মানসিক রোগ যা বিভিন্ন চাপের কারণে হতে পারে। আমরা অনেকেই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে গুগল বা অনলাইন ওয়েবসাইটে অনেকবার সার্চ করি।
বর্তমানে মানসিক চাপের কারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। ছোট সংকট থেকে বড় চ্যালেঞ্জ, স্ট্রেস আমাদের জীবনের এক একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের চাপ, সমবয়সীদের মধ্যে চাপ, সময়সীমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, এই সমস্ত জিনিসগুলো একজন ব্য়ক্তিকে এতটা চাপ তৈরি করে ফেলছে, তাতে জীবন একেবারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বাইরে বা তৃতীয় ব্যক্তির কাছে নিজের সমস্যার সমাধানের আগে বাড়িতেই কীভাবে এই চাপ কমানো যায়? কীভাবে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মোকাবিলা করবেন? মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে ও সুখী জীবনযাপন করতে রইল কিছু সহজ টিপস….
১. ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি সত্যিই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলের ব্যবহার সীমিত রাখার চেষ্টা করুন। ক্যাফেইন মানসিক চাপ কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল বেশি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে বিষন্নতা গ্রাস করে। পানি বা তাজা ফলের রস দিয়ে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইনের বিকল্প করার চেষ্টা করুন।
২. গভীর ঘুম
মানসিক শান্তির জন্য গভীর ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বর্তমানে কাজের চাপের কারণ মানুষ ঠিকমতো ঘুমায় না। ফলে মানসিক চাপ দিন দিন বাড়তে থাকে। কাজ করা ও সঠিকভাবে না ঘুমানোর এই চক্র সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। তাই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে রাতে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে একঘণ্টা আগে টিভি ও মোবাইল বন্ধ করে দিন।
৩. সামাজিকতা বজায় রাখুন
বর্তমানে মানুষ একে অপরের থেকে অনেক বিচ্ছিন্ন। কাজের জগতের সঙ্গে এতটাই জড়িত যে তাঁদের কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকার সময় নেই। একাকীত্ব মানুষের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। কথা বলার লোক নেই, হাসার সঙ্গী নেই। সামাজিক হওয়ার যত চেষ্টা করবেন তত মন ভাল থাকবে, চাপ অনুভব কম হবে। কাজের মধ্যে থাকলেও মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে বা ভিডিয়ো কলে কথা বলুন।