কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

টাকার মান কমলে মূল্যস্ফীতি বাড়বেই

যুগান্তর আবু আহমেদ প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:১৭

অনেক সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক শেষ পর্যন্ত তাদের পলিসি অনুযায়ী রিভার্স রেপো বৃদ্ধি করেছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মার্কেটে সুদহার বাড়ানো। এখন মার্কেটে ঋণের সুদহার দশের কাছাকাছি।


তারল্য সংকট মোকাবিলার জন্য আমানতের সুদের হার বাড়াচ্ছে ব্যাংকগুলো। বাড়তি আমানত সংগ্রহ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একই সঙ্গে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও আমানতের সুদহার বাড়াতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে ইতোমধ্যে আমানত প্রবাহ বাড়তে শুরু করেছে। তবে এখনো মূল্যস্ফীতির হারের নিচেই রয়ে গেছে আমানতের সুদহার। ফলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত রাখলে সুদসহ না বেড়ে বরং টাকা ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে।


বেশ কয়েক বছর ধরে সর্বত্রই সুদহার কমই ছিল। রিভার্স রেপো পলিসি রেটও অনেক কম ছিল। তবে বিশ্বে এটাকে বাড়ানো হচ্ছে। যেমন ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো তাদের পলিসি রেট অনুযায়ী সুদহার বাড়াচ্ছে। তবে আমার কাছে এবং অন্যান্য অর্থনীতিবিদের কাছেও বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। কারণ, বিশ্বের অনেক দেশেই অ্যাডভান্সড ইকোনমি বিরাজমান।


সেসব দেশে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে তারা পণ্যের চাহিদাকে নিরুৎসাহিত করার জন্য সুদহার বাড়িয়ে দেয়। মূল্যস্ফীতি প্রতিরোধ করার জন্য মূলত চাহিদাকে নিরুৎসাহিত করে। তবে চাহিদাকে নিরুৎসাহিত করা হবে কীভাবে, এটা একটা প্রশ্ন। সাধারণত বাজারে কম অর্থ প্রবাহিত হওয়ার জন্য সুদের হার বাড়ানো হয়, যেটা দুই বছর ধরে অ্যাডভান্সড ইকোনমির দেশগুলো করে যাচ্ছে।


এজন্য বিশ্বব্যাপী ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্ট্রাকশনারি মানিটারি পলিসি অর্থাৎ সংকোচনমূলক মানিটারি পলিসি প্রয়োগ করে এসব অ্যাডভান্সড ইকোনমির দেশ। এর দেখাদেখি আমাদেরও যে এটা করতে হবে তা নয়।


আমাদের এখানে মূল্যস্ফীতিটা যে পণ্যের খুব বেশি চাহিদার কারণে হচ্ছে তা নয়। এখানে মূল্যস্ফীতিটা মূলত হচ্ছে পণ্য সরবরাহের ঘাটতি থেকে। এখন সুদহার যদি বাড়ানো হয়, মানুষ পণ্য কম কিনে কম ভোগ করবে ঠিকই; কিন্তু তাতে মূল্যস্ফীতি কমবে এ ধারণা ঠিক নয়। তবে সুদহার বাড়ালে কমতে পারে রিয়েল স্টেট, গাড়ি ক্রয় বা বিমানের ফার্স্ট ক্লাসে ভ্রমণের ক্ষেত্রে। আমাদের মূল্যস্ফীতির হিসাব করা হয় নিত্যপণ্যের সরবরাহ দিয়ে।


যেমন-চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ এসব পণ্যের ভিত্তিতে। এগুলোর সরবরাহের ঘাটতির কারণে পণ্যের দামটা বেশি। কিন্তু এখন এসব নিত্যপণ্যের চাহিদা কমিয়ে দিলে তো দেশের মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি হয় বেশির ভাগ উচ্চমূল্যের পণ্য ও সেবার জন্য। আমাদের দেশে আমরা যে মূল্যস্ফীতি দেখি বা হিসাব করি, সেটি খাদ্যপণ্যের ওপর, যেগুলোকে আমরা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বলি। এগুলোয় সুদহার বাড়িয়ে চাহিদা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে বরং হিতে বিপরীত হবে। অর্থাৎ মানুষের হাতে টাকা কম প্রবাহিত হলে মানুষ আরও ভুগবে। সুদহার বাড়ানো হলে বিনিয়োগ কমে যাবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও