হাতি বনাম মানুষ, কার ঠিকানায় কে?
গত ছয় বছর ধরে চট্টগ্রামের পাহাড়, হ্রদ ও বন ঘেরা জায়গায় বিচরণ হাতির দলটির। তাদের হামলায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, যাচ্ছে মানুষের প্রাণ। সম্প্রতি নবনির্মিত টানেল রোড পারাপারের ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে সেই হাতির পাল।
গত সপ্তাহের এক রাতে বঙ্গবন্ধু টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে নির্মিত অ্যাপ্রোচ রোডের পশ্চিম বৈরাগ অংশ পার হয় ওই পালের তিনটি হাতি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরেও একটি হাতি পারাপারের আরেকটি ভিডিও আলোচনায় আসে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী, আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলার ওপর দিয়ে চলাচল করে একাধিক হাতির পাল। ভিডিওতে দেখা গেছে তারই একটি দলকে। কর্ণফুলী ও আনোয়ারা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন জুড়ে তাদের বিচরণ।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই হাতির দলের তাণ্ডবে তারা সবসময় আতঙ্কে থাকেন। ধান ও কলা গাছসহ খাবারের খোঁজে প্রায় রাতেই হানা দেয় হাতি।
ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা হাতিগুলো সরিয়ে নিতে বহুবার বন বিভাগকে চিঠি দিয়েছে। নিহত, আহত এবং ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়মিত ক্ষতিপূরণও দিচ্ছে বন বিভাগ।
তবে বন বিভাগ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিজেদের করিডোরে (চলাচলের পথ) কোনো বাধা হাতি সহ্য করতে পারে না। আর পূর্ব পুরুষের আবাসস্থল হওয়ায় ওই হাতির দলটি এ এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে না।