এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিল না বিএনপি

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০০

‘শান্তিপূর্ণ’ মহাসমাবেশ করে সরকারকে পদত্যাগের একটি চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেওয়া ছিল বিএনপির লক্ষ্য। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। প্রধান অতিথিসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বক্তব্যের আগেই হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির নেতারা বলছেন, অনুমতির পরও উসকানি দিয়ে মহাসমাবেশ পণ্ড করে দেওয়ার ঘটনা সরকারের পরিকল্পিত। এমন ঘটনার জন্য দলটি প্রস্তুত ছিল না।


দলটির নেতারা মনে করছেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এক দফা দাবিতে বিরোধী দলগুলোর যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে উঠেছে, সেটি থামাতেই মহাসমাবেশ পণ্ড করা হয়েছে। কারণ, শুরু থেকে সরকার একটা শঙ্কায় ভুগছিল যে তাদের বিরুদ্ধে রাজপথে জনরোষ সৃষ্টি হয় কি না। তাই এ ধরনের মহাসমাবেশ বা জমায়েত জনস্রোতে পরিণত হতে পারে, সে আশঙ্কা ছিল সরকারের। সেটি থামাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে মহাসমাবেশ পণ্ড করতে পরিস্থিতি তৈরি করা হয়।


এ বিষয়ে গত রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিএনপির মহাসমাবেশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গুলি চালিয়েছে। যুবদলের নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যা করা হয়েছে। পরিকল্পিত এই তাণ্ডব, সশস্ত্র হামলা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক।


এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দল ও জোটগুলো ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী এই হরতালে সমর্থন জানিয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে, আজকের কর্মসূতিতে আবার বাধা বা বড় ধরনের সংঘাত হলে হরতালের কর্মসূচি আরও বাড়তে পারে। আর হরতাল শান্তিপূর্ণ হলে এমন কর্মসূচি বাড়ানো হবে না। এ ক্ষেত্রে পরদিন সোমবার ‘সচিবালয় ঘেরাও’ কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে। সব বিরোধী দল যুগপৎভাবে এই কর্মসূচি পালন করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও