কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

রেল কবে জাল ছিঁড়ে বের হবে

www.ajkerpatrika.com স্বপ্না রেজা প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৩

সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী এগারসিন্দুর এক্সপ্রেসের দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে মালবাহী কনটেইনার ট্রেনের ধাক্কায়। দুর্ঘটনার বিভীষিকাময় ভিডিও মিডিয়ায় দেখা গেছে। একজন যাত্রী ট্রেনের ছাদ থেকে এই ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। মনে হচ্ছিল, মালবাহী কনটেইনার ট্রেন ও এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে কোনো শিশু হয়তো খেলা করতে করতে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে দিয়ে তা উপভোগ করছে। খেলনাপ্রিয় শিশুদের এমন খেলা খেলতে দেখা যায় বেশ আনন্দের সঙ্গে। হাতে দুটি খেলনা গাড়ি পেলে তারা গাড়ি দুটির রেস করিয়ে একটা গাড়ি দিয়ে আরেকটা গাড়িকে ধাক্কা মেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপ দেখে তেমনই মনে হচ্ছিল। দুর্ঘটনাটিকে সত্য বলে মনে হচ্ছিল না।


যা হোক, এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে রেলওয়ে সূত্র বলেছে, এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস গোধূলি ট্রেনটি বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ভৈরব স্টেশন থেকে ছাড়ার পর আউটার পয়েন্ট এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আরেক লাইনে মালবাহী কনটেইনার ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে ঢুকছিল। তখনো এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইন পরিবর্তনের ক্রসিং পয়েন্ট অতিক্রম করা বাকি ছিল। তার আগেই ক্রসিং পয়েন্টে ঢুকে পড়ে মালবাহী কনটেইনার ট্রেনটি এবং এগারসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেনের শেষ দিক থেকে ৩ নম্বর বগিতে মালবাহী ট্রেনটি প্রচণ্ড ধাক্কা মারে। এতে পুরো এগারসিন্দুর কেঁপে ওঠে এবং তার দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, সংকেত অমান্য করে মালবাহী কনটেইনার ট্রেনটি স্টেশনে ঢুকে পড়ে। এ কারণে তাৎক্ষণিকভাবে মালবাহী ট্রেনের চালক, সহকারী চালক ও ট্রেনের পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে ওঠে যে, সিগন্যাল না মানার মতো ঘটনা চালকেরা ইচ্ছে করলেই ঘটাতে পারেন। আর এ ঘটনা আগে থেকে দেখার বা বোঝার কেউ থাকে না। যখন দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তখন সবাই জানতে পারে যে, সিগন্যাল বা সংকেত মানা হয়নি, তাই দুর্ঘটনা ঘটেছে! আবার এই সিগন্যাল সিস্টেম ম্যানুয়াল হওয়ায় চালকের সিগন্যাল না দেখার বিষয় এবং চালককে যথাযথ সময়ে সঠিক নিয়মে সিগন্যাল না দেখানোর বিষয়টিও কারণ হিসেবে আসতে পারে। সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, যেকোনো দুর্ঘটনার পেছনে বড় পদের দায়িত্বশীলদের কখনো সেই অর্থে দায়বদ্ধ করা হয়েছে বলে মনে পড়ে না। জবাবদিহিও নেওয়া হয় না। সব স্টাফ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেন কি না, সেটা দেখা ও নিশ্চিত করার জন্য তাঁদের মাথার ওপর থাকেন আরও অনেকেই। যাঁরা বড় পদের, তাঁরা করেন কী যোগাযোগ নিরাপদ করবার জন্য? যাত্রীদের নিরাপত্তা কোথায়, যদি একজন চালক সংকেত না মানেন?

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও