নদীর নাম সোমেশ্বরী হইলেও ইহার দশা হইয়াছে ধ্বংসপুরীর। শনিবারের সমকালে ‘সোমেশ্বরীতে প্রভাবশালীর থাবা’ শীর্ষক সংবাদ পড়িয়া যে কাহারও মনে হইবে সোমেশ্বরী কোনো নদী নহে, তাহা এক বালুর খনি। নেত্রকোনার বিজয়পুর ও ভবানীপুরের মধ্যে দিয়া প্রবাহিত নদীর বুকে ৫টি বালুমহাল ঘোষণা করিয়া চলিতেছে নদীবক্ষ ক্ষতবিক্ষত করিবার ব্যবসা। যথারীতি স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ নেতারাই এইসব বালুমহালের ইজারাদার। নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা ড্রেজার, বলগেট ইত্যাদি বালু উত্তোলন যন্ত্র বসাইয়া দেদার উঠাইয়া আনা হইতেছে সোমেশ্বরীর মূল্যবান লাল সিলিকন বালু; পাথরও বাদ পড়িতেছে না। ২০১০ সাল হইতে চলিতেছে এই প্রকৃতিবিনাশী মুনাফার কারবার।
সমকালের প্রতিবেদন দেখাইতেছে যে, বালু উত্তোলন, স্তূপীকৃত করা এবং পরিবহনে এলাকার সড়ক, সেতু, পরিবেশের ভয়াবহ রকম ক্ষতি ঘটিয়া চলিয়াছে। অথচ নদী রক্ষা আইন আছে, রহিয়াছে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন। এইসব আইনে নদী, পরিবেশ, জলবায়ুর ক্ষতি করিয়া বালু উত্তোলন শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। পাম্প বা ড্রেজিং কিংবা অন্য কোনো উপায়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনও নিষিদ্ধ।
- ট্যাগ:
- মতামত
- থাবা পার্টি
- বালুচর
- সোমেশ্বরী নদী