মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিস্তার রোধে ইসরায়েলকে থামাতেই হবে
অবরুদ্ধ জনবহুল গাজা উপত্যকায় পূর্ণ গতিতে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার আল-আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের এক আক্রমণেই কয়েকশ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এ অঞ্চলে আরেকটি বহুমুখী যুদ্ধ বাধতে পারে।
ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইতোমধ্যে গাজার বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত। সেগুলো লেবানন ও সিরিয়াতেও আঘাত হানছে। সিরিয়ায় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুটি প্রধান বিমানবন্দর পরিষেবার বাইরে চলে গেছে। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি গুলিতে রয়টার্সের সাংবাদিক ইসাম আবদুল্লাহ নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মিসর ও গাজার মধ্যবর্তী রাফাহ ক্রসিংয়ে বারবার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের কারণে মিসরও সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে।
ফিলিস্তিনের হাসপাতালে বিধ্বংসী আক্রমণের কারণে ইরান বুধবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আগাম’ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে। এর আগে, ইরাকের শক্তিশালী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের সদস্যদের প্রস্তুতি ইঙ্গিত দেয়, গাজায় হামলা অব্যাহত থাকলে তারাও হস্তক্ষেপ করবে। লেবানিজ হিজবুল্লাহ ইতোমধ্যে লেবাননের ভূখণ্ডে আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসরায়েলে কিছু রকেট নিক্ষেপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও বৃহত্তর এক সংঘাতের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে শক্তিশালী রণতরী পাঠিয়েছে। জো বাইডেন ও ঋষি সুনাক ইসরায়েল সফর করেছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক থেকে লেবানন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে এবং গাজায় হামলা বন্ধের আহ্বান জানাতে রাস্তায় নেমেছে।