অজানা শঙ্কায় কাটছে দিন

www.ajkerpatrika.com স্বপ্না রেজা প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৮

সামনে নির্বাচন। দেশ শাসনে ক্ষমতা অর্জনের নির্বাচন। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বেশ তৎপরতা দেখাচ্ছে প্রতিদিন। রীতিমতো পাল্টাপাল্টি। এক দল সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ামাত্রই আরেক দল কর্মসূচির ঘোষণা দিচ্ছে। অনেকটা মুখোমুখি অবস্থান। শুধু অবস্থানই নয়, মুখ কারোরই সংযত থাকছে না।


আক্রমণাত্মক ভাষায় এক দল আরেক দলের সমালোচনা করছে, গালিগালাজ করছে, যা ইচ্ছে তা-ই বলছে। বলতে দ্বিধা নেই, দেশের দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দলের এমন আচরণ নতুন না হলেও বর্তমানে যে লাগামছাড়া আচরণ তারা করছে কিংবা দেখাচ্ছে, তা কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিচ্ছে না। ভয় ও নানান আশঙ্কায় তারা ভাবছে—কী হতে যাচ্ছে! রাজনৈতিক দলগুলোর অসহিষ্ণু, বেপরোয়া আচরণ ও কথাবার্তা অনেকের কাছে শোভনীয়ও লাগছে না।


এমনিতেই বাজারে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, শিক্ষা-স্বাস্থ্যসহ জীবনযাপনে মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় খেটে খাওয়া মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক মন্দায় সাধারণ মানুষ দিশেহারা। রিজার্ভের অবস্থা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নেই। বরং ক্রমেই তা নিম্নমুখী। বাংলাদেশের বিভাজিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের পথকে প্রশস্ত করছে বলেই আশঙ্কা। রাজনৈতিক বড় দুই দলের অনৈক্য তৃতীয় কোনো শক্তির অনুপ্রবেশের সুযোগ ঘটাবে কি না, তা নিয়েও আলোচনা আছে।


বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এতটাই ক্ষমতাকেন্দ্রিক যে, ক্ষমতায় বসার বিষয়টিই তাদের কাছে সব সময় অগ্রাধিকার পায়। আর তাই দেশের স্বার্থে কখনোই রাজনৈতিক সম্প্রীতি দেখা যায়নি, ঐক্য গড়ে ওঠেনি। একসঙ্গে মিলেমিশে চিন্তা করার, কাজ করার মানসিকতা থাকে না। তারা নিজেদের নিয়ে এতটাই মগ্ন যে বাজার থেকে মানুষ কী কিনে খেতে পারে বা পারছে, তা নিয়ে কোনো ভাবনা কিংবা মাথাব্যথা নেই। বিএনপি বর্তমানে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিকে ইস্যু হিসেবে না নিয়ে ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক চেতনায় একজন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকারের আওতায় নির্বাচনের দাবি নিয়েই মাঠে নেমে আন্দোলন করছে। একটা সময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ছাড়া বিএনপির আন্দোলনের কোনো ইস্যু ছিল না। দলটির কর্মসূচিতে হাতেগোনা লোকের উপস্থিতি দেখা যেত। এখন চিত্র বদলেছে। মিছিল ও সভা-সমাবেশে অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। কী করে সম্ভব হলো? কারণ, মিছিল-মিটিংয়ের জন্য মাথাপিছু যত টাকা ঢালা যায়, ততই লোকের উপস্থিতি পাওয়া যায়। লোকসমাগম রাজনীতিতে কোনো ব্যাপারই নয়। একই কথা প্রযোজ্য আওয়ামী লীগের বেলায়ও। যদি স্বচ্ছতার সঙ্গে বিষয়টি দেখা যায়, তাহলে এমন সত্যই বেরিয়ে আসবে। রাজনৈতিক সমাবেশে খুব কমসংখ্যক সাধারণ মানুষই উপস্থিত হয়। যেটুকু হয়, তা রাজনৈতিক দলের সমর্থনে ও অর্থের বিনিময়ে। এটা কোনো দলই অস্বীকার করতে পারবে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও