আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে বাধা যেখানে
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে তাদের বেঁধে দেওয়া শর্ত মোতাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ হয়নি ঠিক। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে শর্ত বাস্তবায়নে অনেক দূর এগিয়েছে সরকার। ঋণের সুদহার ও মুদ্রাবিনিময় হারে সংস্কার করা হয়েছে। তবে সমস্যা হলো, রিজার্ভের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া। অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও আইএমএফ এ ক্ষেত্রে ছাড় দিতে চায় না। এছাড়া প্রায় প্রতিনিয়তই রিজার্ভ কমছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফ’র দেওয়া ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্ত বাস্তবায়ন ও বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আগামী ৪ অক্টোবর (বুধবার) ঢাকায় আসছে আইএমএফের একটি মিশন। এ মিশন আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। সংস্থাগুলো হচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, আইএমএফ চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণপ্রস্তাব অনুমোদন করে। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ছাড় করে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৭০ কোটি ডলার ছাড় করার কথা রয়েছে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে তাদের দেওয়া শর্ত বাস্তবায়নের অর্থগতি পর্যবেক্ষণেই ঢাকায় আসছে আইএমএফ মিশন।