মজুরির হিসাব-নিকাশ: পোশাক শিল্পের অগ্রগতি ও শ্রমিকের জীবন

ডেইলি স্টার তাসলিমা আখতার প্রকাশিত: ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:১০

জীবনের নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ৪০ লাখ তরুণ পোশাক শ্রমিক। সেই অধ্যায় স্বস্তির না পুরোনো ঘানি জিইয়ে রাখার—তা এখনই বলা মুশকিল। একদিকে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিক আন্দোলন, অন্যদিকে মালিক-সরকার ও তাদের আস্থাভাজন শ্রমিক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ক্ষিপ্রগতিতে তৎপরতা চলছে। নিকট সময়েই নতুন মজুরি নির্ধারণেই সব পরিষ্কার হবে। সবাই জানে, গত পাঁচ বছরে করোনা-মূল্যস্ফীতি-মুদ্রাস্ফীতি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির চাপসহ নানা সংকট মোকাবিলা করেছে দেশ। এতসবের মাঝেও পোশাক খাত অর্থনীতির প্রাণ ভোমরা হয়ে থেকেছে। অন্যসব খাতের পতন হলেও এই খাতের অগ্রযাত্রা থামেনি।


শ্রমিকদের অক্লান্ত শ্রম ও অমানবিক জীবনের বিনিময়ে গেল অর্থবছরে ৮৪ শতাংশ রপ্তানি আয় হয়েছে এই খাত থেকে। শুধু তাই নয়, গত পাঁচ বছরে ৩৩ থেকে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি শিল্পে পরিণত হয়েছে এটি। নতুন বাজারে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি রপ্তানি হয়েছে। ডলারের বিনিময়ে টাকার দাম কমে যাওয়ায় গত এক বছরে মালিকরা বাড়তি পেয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকা। এসবই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি।


ভাবনা আসে, তবে কি এই অগ্রগতির হিস্যা পেতে যাচ্ছে শ্রমিকরা নতুন মজুরিতে? যে জীবন হাঁসফাঁস করে আট হাজার টাকার বেড়াজালে, তা থেকে কি এবার পরিত্রাণ জুটবে? এবার কি শ্রমিকরা ডিম-ডাব-মাছ-মাংস-ফলমূল-দুধ খাওয়ার অধিকার পাবে? প্রিয় সন্তানকে কাছে রাখা বা যথাযথ শিক্ষা দেওয়ার স্বপ্ন কি ন্যায্যতা পাবে? অসুস্থ হলে সস্তা-হাতুড়ে চিকিৎসার বদলে তারাও কি মানসম্মত চিকিৎসা পাবে? শ্রমিকরা তাদের দাবি অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা বা তার কাছাকাছি ২৩ বা ২৪ হাজার টাকার মতো মজুরি কি পাবে? শেষ হতে যাচ্ছে কি দুনিয়ার সস্তা মজুরের পরিচয়, তারা কি পেতে যাচ্ছে নাগরিক মর্যাদার ছিটেফোঁটা?


এসব প্রশ্নে মালিক-সরকার পক্ষ বা তাদের সহচরীদের মনে হতে পারে শ্রমিক 'বড্ড' বেশি চায়। অতি সহজে শ্রমিকদের তারা 'অতি-উৎসাহী' বা 'অপরাধী' হিসেবে গণ্য করতে পারে। কেউ বা বলে বসতে পারে, 'শ্রমিক অতশত ২৫ হাজারের দাবি বোঝে না, বরং "দুষ্টু" বুদ্ধির নেতা বা "উসকানিদাতা"রা মগজ ধোলাই করছে', 'শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র' করছে। তারা এটা খেয়াল করেন না যে, শ্রমিকরা মেশিন না, মানুষ। অমানবিক আর্থিক টানাপোড়ন ও মেশিন জীবনই তাদের অজান্তে তাদের চিন্তাকে কখনো সক্রিয় করে তোলে। অগ্রসর নেতৃত্বের কাজ মগজ ও শরীরের এই আটক দশা থেকে বেরিয়ে আসার পথ যৌথভাবে খোঁজা। ন্যূনতম মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিতই মানসম্মত মজুরির প্রাথমিক শর্ত। মজুরি বৃদ্ধিতে শিল্প ধ্বংস নয়, বরং উৎপাদনশীলতা বাড়ে। শিল্প রক্ষার স্বার্থেই এটি অনিবার্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও