জন্মবধির শিশুদের জীবন যেভাবে শব্দময় হয়ে উঠছে

www.tbsnews.net প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:১৮

অর্পার বয়স যখন এক বছর তখন থেকেই বাবা-মা বুঝতে পারেন মেয়েটা কিছুটা অস্বাভাবিক। সে কানেও শুনতে পায়না, কথাও বলতে পারেনা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকও জানান অর্পা সম্পূর্ণ বধির হয়ে জন্মেছে। অর্পার মতো যখন একটি শিশু একাধারে কানেও শোনে না, কথাও বলে না, তখন আমরা ধরে নিই, সে বধির ও মূক। কিন্তু বিষয়টি সবসময় এমন নয়। যেহেতু সে কানে শোনে না, তাই তার মস্তিষ্কে কোনো শব্দ এসে পৌঁছায় না। ফলে কোনো অর্থযুক্ত শব্দ সে উচ্চারণ করতে পারে না। যদি কোনোভাবে তার মস্তিষ্কে শব্দ পৌঁছানো যায়, তাহলে সে শুনতেও পারবে এবং একসময় সে অর্থযুক্ত শব্দের মাধ্যমে কথাও বলতে পারবে।   


অর্পার কানে কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে মস্তিষ্কে শব্দ ঢোকানোর এই কাজটি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল চিকিৎসক। যার ফলে আর দশটা মানুষের মতোই অর্পা এখন কানে শুনতে পারে, কথাও বলতে পারে। শুধু তাই নয়, উনিশ বছর বয়সী অর্পা এ বছর এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে বর্তমানে ঢাকা কমার্স কলেজে পড়ছে।


অর্পা যে চিকিৎসা সেবাটি নিয়েছে চল্লিশ বছর আগেও সেটি এতটা জনপ্রিয় ছিল না। অত্যন্ত ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার নাম 'কক্লিয়ার ইমপ্লান্টেশন'। যা আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয় ১৯৮৫ সালের দিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারতে শুরু হয় ১৯৯৫ সালের দিকে। আর বাংলাদেশে শুরু হয় ২০০৬ সালের দিকে। কিন্তু অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে হাতে গোনা দু'একটি পরিবার নিজ ব্যয়ে বিদেশি সার্জন এনে ঢাকাতে ইমপ্লান্ট স্থাপন করাতো। আবার কোনো কোনো পরিবার বিদেশে গিয়ে এই অপারেশন করাতো।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও