এখন কী করবেন আওয়ামী লীগ–বিএনপির নেতারা?
এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে। রপ্তানি আয় বাড়ছে না। প্রবাসী আয় নিম্নমুখী। বিনিয়োগ স্থবির। কলকারখানায়ও গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি। সরকার নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে, আমদানি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। মন্ত্রীরা বলছেন, সিন্ডিকেট বাজার অস্থিতিশীল করছে। কিন্তু সেই সিন্ডিকেটকে ধরতে পারছে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে চুনোপুঁটিদের ধরছে। কিন্তু রাঘববোয়ালেরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। খেলাপি ঋণের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কিন্তু সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না বা নিচ্ছে না।
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা এত দিন স্বীকারই করতে চাননি দেশে কোনো সমস্যা আছে। যেকোনো বেসরকারি জরিপ ও গবেষণা প্রতিবেদন তঁারা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতেন। কিন্তু একটানা ১৫ বছর দেশ শাসনের পর সরকার বুঝতে পারছে অর্থনীতি ভালোভাবে চলছে না। এ জন্য তাঁরা অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ নিচ্ছেন।