বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো দ্রুত চালুর ব্যবস্থা করা হোক

বণিক বার্তা মো. আবদুল লতিফ মন্ডল প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:৪৬

গত ১১ সেপ্টেম্বর বণিক বার্তার এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি) আওতাধীন বন্ধ ঘোষিত ২৬টি পাটকলের মধ্যে অন্তত ১০টি সরকারিভাবে পুনরায় চালু করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাটচাষী ও পাট ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘দেশে পাট ও পাটসংশ্লিষ্ট পণ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় চার কোটি লোক সম্পৃক্ত। ২০২০ সালের ১ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিজেএমসির অধীনে রাষ্ট্রায়ত্ত ২৬টি পাটকল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর শ্রমিকরা কলোনি ছেড়ে যেতে বাধ্য হন, বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। কথা ছিল লে-অফ অর্থাৎ তিন মাস পর আবার চালু করবেন। কিন্তু আজ প্রায় সাড়ে তিন বছর পার হলেও এখনো কোনো মিল চালু হয়নি। সরকার বিভিন্নভাবে ব্যক্তিমালিকানায় লিজ দিয়েও চালু করতে ব্যর্থ হয়েছে। কিছু কিছু কারখানা লিজ নিয়েও উৎপাদনে যেতে পারছে না। অনেক মিল এখন পর্যন্ত লিজ দেয়া হয়নি। ফলে মিলের যন্ত্রাংশ অকেজো হয়ে যাচ্ছে।’ বন্ধ থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো সরকারি বা বেসরকারি কিংবা উভয় খাতে কেন দ্রুত চালু করা দরকার মূলত তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য। 


বর্তমানে যে ভৌগোলিক এলাকা নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত, সেখানে প্রাচীনকাল থেকে পাটের চাষ হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা পরিষদ এবং বাংলাদেশ একাডেমি অব এগ্রিকালচার কর্তৃক যৌথভাবে সম্পাদিত ‘Agricultural Research in Bangladesh in the 20th century’ শীর্ষক গ্রন্থ অনুযায়ী প্রাচীনকাল থেকে বাংলাদেশে পাটের চাষ হলেও ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে পাট চাষের বিস্তার শুরু হয়। ১৮৪০ সালে শুরু হয় ব্যাপকভাবে পাট উৎপাদন। যেসব অঞ্চলে পাট চাষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সেগুলো হলো রংপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, বগুড়া, ফরিদপুর, বাকেরগঞ্জ ও নোয়াখালী। বর্তমানে বাংলাদেশের সব জেলায়ই কমবেশি পাট উৎপাদন হয়ে থাকে। পাট চাষ, পাটজাত সামগ্রী তৈরি, পাট ও পাটজাত পণ্যাদির ব্যবসা-বাণিজ্য বহুকাল ধরে এ দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও