
২৮ হাজার শিক্ষার্থীর ‘দুঃখ’ শাটল ট্রেন
যাতায়াত নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রধান মাধ্যম শাটল ট্রেন। সড়কপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলেও তা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। ট্রেন প্রধান ভরসা হলেও এতে আসন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীকে দাঁড়িয়ে থেকে যেতে হয় সোয়া এক ঘণ্টার পথ। বাধ্য হয়ে অনেকে চড়েন ট্রেনের ছাদে। ঝুঁকি নিয়ে চলায় একের পর এক ঘটছে দুর্ঘটনা।
দীর্ঘদিন ধরে এ সংকট থাকলেও চবি কিংবা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে তেমন মনোযোগী নয়। তারা একে অপরের ওপর দায় চাপায়। শাটল ট্রেনে আসন না পাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলতে গিয়ে রবিউল আলম নামে এক শিক্ষার্থীর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এর পর আন্দোলন হলেও বাড়েনি বগি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করার সময় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ১৭ জন আহত হন। এ ঘটনায় তিনজন এখনও আছেন হাসপাতালের আইসিইউতে। এটি ছিল শাটল ট্রেনে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। এ ছাড়া ছিনতাই, চুরি, পাথর নিক্ষেপ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনাও ঘটছে।
২৮ হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি চবি ক্যাম্পাসে বসবাস করা কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্বজনের একটি বড় অংশ আসা-যাওয়া করে শাটল ট্রেনে। সব মিলিয়ে প্রতিদিনের যাত্রী ১২ হাজারের মতো। তাদের জন্য ভরসা কেবল ৭০০ আসনের দুটি ট্রেন। ক্যাম্পাস ও শহরের মধ্যে দুটি ট্রেন দিনে সাতবার আসা-যাওয়া করে। যাত্রীর তুলনায় এ সার্ভিস অপ্রতুল হওয়ায় পোহাতে হয় মহাদুর্ভোগ। ক্লাস চলাকালে দুর্ভোগ অনেক বেড়ে যায়।