কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হলে

বণিক বার্তা ড. আর এম দেবনাথ প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১০:০২

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সাবেক ‘‌পূর্ব পাকিস্তান’ (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে অত্যাচারিত হয়ে এক কোটির অধিক শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নেয়। তখন ভারতে খাদ্যাভাব। মোটা মোটা কঙ্করসহ চালের ভাত আর বড় বড় গোল আলু খেতে খেতে আমরা কাহিল হয়ে পড়েছিলাম। ভাবলাম কোথায় এলাম? খাদ্যাভাবের দেশে আশ্রয়। এটা মোটামুটি ৫০-৫২ বছর আগের ঘটনা। এখনকার অবস্থা কী? ভারত কি খাদ্যাভাবের দেশ? মোটেই না। বরং উল্টো। ভারত চালে-গমে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, তারা ৪২টির বেশি সংখ্যক দেশে চাল রফতানি করে। ওই সব দেশের ৫০ শতাংশেরও বেশি চাল আমদানি হয় ভারত থেকে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বে মোট রফতানি হওয়া চালের প্রায় ৪০ শতাংশ রফতানি করেছে ভারত (বণিক বার্তা ২৭.০৮.২৩)। চলতি অর্থবছরে ৪৫ লাখ টন বাসমতী চাল রফতানি করেছে ভারত। শুধু চাল-গম নয়, ভারত অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে খুবই ভালো করছে। আমরাও চাল ও গমের আমদানির জন্য ভারতের ওপর বেশ কিছুটা নির্ভরশীল। শুধু চাল ও গম নয় বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারেও ভারতের পণ্যের উপস্থিতি লক্ষণীয়। কাঁচা বাজারে গেলেই এর সত্যতা মিলবে। সংকটকালীন অবস্থায়ও আমরা অনেক পণ্য ভারত থেকে আমদানি করি। পেঁয়াজ, রসুন, ডাল, চিনি আমদানির ঘটনা তো নিত্যদিনের। এমনকি এবার কাঁচামরিচও ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। ডিমও আমদানি হয়। মসলা-পাতিসহ অন্যান্য দ্রব্যের কথা নাইবা বললাম। আমি শুধু বলছি ভোগ্যপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির কথা। 


বণিক বার্তাতেই কয়েকদিন আগে এ সম্পর্কে সুন্দর একটি স্টোরি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আমরা কি ভোগ্যপণ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ক্রমেই ভারতনির্ভর হয়ে পড়ছি। বণিক বার্তার খবরের সত্যতা মেলে আরেকটি খবরে। ২৭ তারিখে প্রকাশিত একটি কাগজের খবরে শিরোনাম হচ্ছে ‘‌সাত নিত্যপণ্য সরবরাহের আশ্বাস ভারতের মন্ত্রীর’। খবরটিতে দেখা যায়, আমাদের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলছেন, ‘‌দিল্লির ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আমার আলাদা বৈঠক হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে তারা ইতিবাচক। নিত্যপণ্য কোটা রাখা ও পণ্যে শিগগির ছাড় পাওয়া যাবে, আশ্বাস পেয়েছি।’ মন্ত্রী কথিত সাতটি পণ্য কী? দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে চেয়েছে ১৫ লাখ টন চাল, ২৬ লাখ টন গম, ১০ লাখ টন চিনি, ৮ লাখ টন পেঁয়াজ, ৫০ হাজার টন আদা, ৭০ হাজার টন রসুন ও ১ লাখ টন মসুর ডাল। এ চাওয়ার তালিকা থেকে কী বোঝা যায়? আমরা চাল উৎপাদনে ঈর্ষণীয় উন্নতি করলেও খাদ্যশস্যসহ অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতিতে রয়েছি। এখন বিশ্বজুড়ে নানা সংকট চলছে। চাল ও গমের আমদানি নিয়ে সমস্যা হতে পারে। হতে পারে চিনি ইত্যাদিতেও। অতএব পূর্বাহ্নেই ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। আরো কথা এই যে বাণিজ্য ও আমদানিনির্ভরতা, পরস্পর নির্ভরশীলতা, যোগাযোগ, কানেক্টিভিটি, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয় বহুদিন ধরে আমাদের দেশে আলোচিত। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও