সাংবাদিকতা, কূটনৈতিকতা ও বাংলাদেশ
বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে একটা দৃশ্যের মঞ্চায়ন লক্ষণীয়ভাবে গতি পেয়েছে। সেটি হচ্ছে নির্বাচন এলেই বাংলাদেশ নামক দেশটি এবং এর জনগণের জন্য বিদেশিদের ভালোবাসার জোয়ার উছলে ওঠে। জোয়ারের ধাক্কায় বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকরা হঠাৎ জেগে উঠে এমন এলোপাতাড়ি দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন; দেখলেই বোঝা যায়, তারা এলোমেলো হয়ে পড়েছেন। শুধু নিজেরাই নন; ডেকে আনা হয় তাদের দেশের প্রতিনিধিদের। তারাও অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং তার কারণ বুঝতে জাতির মোটেও এতটুকু বেগ পেতে হয় না।
এই নিউইয়র্কে এসে, দীর্ঘদিন বসবাস করেও বোঝা যায়, সাদা মানুষ দেখলেই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করে। যেভাবে হুটোপুটি খেতে থাকে, দৌড়ঝাঁপ দিতে থাকে; মনে হয়, সামনে কোনো অঘটন ঘটেছে। তাকে আগে যেতেই হবে। নয়তো প্রাণে বাঁচানো যাবে না কাউকে।
এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা না বললেই নয়। কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে বিরতিহীনভাবে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি। সেই সঙ্গে সেখানে অবস্থানকারী কূটনীতিকরা সরকারের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক ও আলোচনা করছেন। তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নসিহত করছেন, যা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।