কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

মির্জা ফখরুলের ‘বড় রকমের ঝাঁকুনি’-র আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

বিডি নিউজ ২৪ চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ২১:০৯

মাঝে মাঝে কিছু রাজনৈতিক কর্মসূচি আর বক্তৃতা-বিবৃতিতে হুমকি-ধমকি প্রদানের মধ্যেই বিরোধী দলের রাজনীতি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, রাজনীতি নিয়ে টেনশন বাড়ছে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা, তারা নির্বাচনে অংশ না নিলে কী হবে, ক্ষমতাসীনরা যেনতেন প্রকারে একটা নির্বাচনের আয়োজন করে আবারও ক্ষমতায় আসবে, নাকি বিএনপি তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি বাস্তবায়ন করে জনরায় নিয়ে ক্ষমতায় আসবে, এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও বিএনপির নেতারা তর্জন-গর্জন অব্যাহত রেখেছেন।


সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকার হটাতে ‘বড় রকমের ঝাঁকুনি’ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন। প্রশ্ন হলো, এই ঝাঁকুনি কে দেবে? দেশের মানুষকে নিয়ে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার সামর্থ্য কী বিএনপির আছে? মানুষ বিএনপির কোন নেতাকে নিয়ে আগ্রহী হবে? দুর্নীতির অভিযোগে দণ্ডিত এবং বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে জর্জরিত বেগম খালেদা জিয়া কী আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন?  খালেদার জিয়ার পরিবর্তে বিএনপির হাল কে ধরবেন? একাধিক মামলায় দণ্ডিত ফেরার হয়ে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী তারেক রহমান কি বিএনপির হাল ধরতে পারবেন? দেশবাসী ও বিএনপির নেতাকর্মীরা কী তাকে মেনে নেবে? সবচেয়ে বড় কথা আওয়ামী লীগ কি বিএনপির ফিরে আসার সুযোগ দেবে? ২০০৪ সালের একুশে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করতে চেয়েছে যে দল, সেই দলকে আওয়ামী লীগ ন্যূনতম ছাড় দেবে? তা যদি না দেয়, তাহলে দেশে আগামী নির্বাচনে কী হবে?


আমাদের দেশের রাজনীতিতে এমন অসংখ্য প্রশ্ন আছে। উদ্বেগ, ভয়, আশঙ্কা আছে। কিন্তু এর কোনো সমাধানসূত্র নেই। আপাতত রাজনীতিবিদরা বিভিন্ন পরাশক্তির কাছে ধরনা দিচ্ছেন। আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, ভারতের সমর্থন পাবার চেষ্টা করছেন। যদিও এদেশে কে ক্ষমতায় এলো, কিংবা ক্ষমতায় এলো না, এসব বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় এবং আগ্রহ বৃহৎ দেশগুলোর খুব আছে কিনা ভাববার বিষয়। তারা আছে তাদের ধান্দায়। তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ কীভাবে রক্ষা পাবে, এটাই তাদের একমাত্র এজেন্ডা। তারা কাউকেও ক্ষমতায় বসিয়েও দেবে না। ক্ষমতা থেকে নামিয়েও দেবে না। পৃথিবীর কোনো দেশেই বিদেশিদের কথায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমাদের দেশেও হবে না। তারপরও রাজনৈতিক দলগুলো বিদেশিদের পেছনে ধরনা দিচ্ছে। তাদের পায়ে তেল মাখছেন নেতারা। একটা স্বাধীন দেশের রাজনীতিবিদদের জন্য এটা যে অত্যন্ত অপমানের—এই বোধটাও কারো আছে বলে মনে হয় না।  

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও