থামানো যাচ্ছে না জনসংখ্যা বৃদ্ধি
আমাদের হাজারো সমস্যার মধ্যে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অন্যতম। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। দেশে ১১ জুলাই ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়ে নানা নির্দেশনা জারি করা হয়। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি এ দেশে বিভিন্ন এনজিও সংস্থাও জনসংখ্যা বৃদ্ধি প্রতিরোধে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের জন্য সুখবর হলো, দেশের মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৬০ সালে এ ভূখণ্ডের মোট জনসংখ্যা ছিল মাত্র এক কোটি, যা বর্তমানে অনেক গুণ বেড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৮৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ৫০০ কোটিতে পৌঁছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিশ্বজুড়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালন করে আসছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ১৮০৪ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। এর দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছে প্রায় ১২৩ বছর। ১৯২৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়ায় ২০০ কোটিতে। এরপর ৩২ বছর অর্থাৎ ১৯৫৯ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৩০০ কোটিতে। ১৯৭৪ সালে অর্থাৎ ১৫ বছর পর বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় ৪০০ কোটিতে। ৫০০ কোটিতে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল আরও কম। মাত্র ১৩ বছরে ১৯৮৭ সালে জনসংখ্যা ৫০০ কোটিতে বৃদ্ধি পায়। প্রতি ১২ বছরে বিশ্বে জনসংখ্যা বেড়েছে ১০০ কোটি করে। ১৯৯৯ সালে ৬০০ কোটি। ২০১১ সালে ৭০০ কোটি। সর্বশেষ তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়ায়, প্রায় ৮০০ কোটিতে।
- ট্যাগ:
- মতামত
- জনসংখ্যা
- জনসংখ্যা বৃদ্ধি