৩ উপায়: পিসিওডি রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে
অনেকের ধারণা থাকে যে, পিসিওডি-র শিকার হলেই বুঝি আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই ওজন বাড়তে বাধ্য। এবং এক বার বাড়লে তা কমানো সম্ভব নয়। এই ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। অভিনেত্রী সারা আলি খানও পিসিওডি-র শিকার। একাধিক সাক্ষাৎকারে সারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, পিসিওডি-র শিকার হয়ে তাঁর ওজন হয়েছিল প্রায় ৯৬ কিলোগ্রাম পর্যন্ত। আর হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়ায় ওজন কমানোও তাঁর কাছে সহজ ছিল না। তবে এখন অভিনেত্রীকে দেখে তা বোঝার জো নেই। ওজন ঝরিয়ে এখন সারা ফিট। বর্তমান পরিস্থিতিতে, পাঁচ জন মেয়ের মধ্যে অন্তত একজন করে ভোগেন এই সমস্যায়। কিন্তু পিসিওডি কী? কেনই বা তা থাবা বসাচ্ছে রোজকার জীবনে?
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ় (পিসিওডি)— দু’টি ক্ষেত্রেই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। একটি সময়ের পর থেকে প্রত্যেক মেয়ের শরীরের দু’টি ডিম্বাশয় বা ওভারি থেকে প্রতি মাসে ডিম বেরোতে থাকে। পিসিওডির ক্ষেত্রে ওভারি সাধারণত অপরিণত কিংবা আংশিক পরিণত ডিমে ভরে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে তা জমে জমে সিস্টে পরিণত হয়। অতিরিক্ত ভাজাভুজি ও মশলাদার খাবার খাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, মানসিক চাপ এবং হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে পিসিওডি হয়। এর ফলে ঋতুচক্র অনিয়মিত হয়, পেটে চর্বি জমে ও ওজন বাড়ে, বন্ধ্যাত্ব এবং চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
পিসিওএস আবার আলাদা। এটি মূলত মেটাবলিক ডিজ়অর্ডার। এই রোগে আক্রান্ত হলে পুরুষালি হরমোনের আধিক্যের কারণে শরীর ও মুখে অবাঞ্ছিত রোমের প্রবণতা বাড়ে। ব্রণ, অ্যাকনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। চুল ঝরে যায়। ওজনও বাড়ে। এ ছাড়াও আছে প্রজননের সমস্যা এবং ভবিষ্যতে উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।