ফিলিস্তিনের সংকট সমাধানে চীন কেন আগ্রহী

সমকাল রামজি বারুদ প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০১:০১

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে মধ্যস্থতায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারির বেলায় চীনের মধ্যস্থতা সফল হতে পারে। এপ্রিল মাসে সৌদি আরব ও ইরানের পুনর্মিলনে সফল ভূমিকা পালন করেছিল বেইজিং। সেখানে দেখা গেছে, চীনের কূটনীতি কতটা পরিপক্ব। অনেক বছর ধরে বৈশ্বিক বিষয়ে চীন নাক গলাত না। দেশটি তখন হয়তো নিজেদের অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ কিংবা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক মেলবন্ধনেই মনোযোগী ছিল। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনকে বিশ্বমুখী করতে বাধ্য করেন কিংবা বহির্বিশ্বের প্রতি চীনের মনোযোগ তখন থেকেই বাড়তে থাকে।


 ২০১৮ সালের ঘটনা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন এশিয়ার শক্তিশালী এই দেশটির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা হিতে বিপরীত হয়। ওই সময় ওয়াশিংটন বেইজিংকে আমেরিকার কাছে মাথা নত করাতে ব্যর্থ হয়। একই সঙ্গে চীনকে ‘উলফ ওয়ারিয়র’ বা নেকড়ে যোদ্ধা কূটনীতি গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। অর্থাৎ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আত্মপ্রত্যয়ী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় চীন। আমেরিকা কিংবা পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে চীনের নতুন কৌশল শত্রুতাপূর্ণ ও আগ্রাসী বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু চীনের দিক থেকে এ নীতি অনিবার্য ছিল। কারণ সে সময় মার্কিন প্রশাসনসহ তাদের পশ্চিমা মিত্ররা চীনের বিরুদ্ধে বিরামহীন যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংঘাত ও কূটনীতিতে চীনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যদিও মার্চ মাসে ঘোষিত চীনের ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব পশ্চিমাদের মুগ্ধ করতে ব্যর্থ হয়। রাশিয়া ভেতরে না হলেও ওপরে ওপরে স্বাগত জানায়। তারপরও এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। এর মানে, আন্তর্জাতিক ফোরামে চীন এখন আর কারও সহযোগী ভূমিকায় নেই। চীন নিজেই সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে হাজির হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও