তীব্র লোডশেডিংয়ের পরও অস্বাভাবিক বিল!
মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত বিলের বিড়ম্বনায় ভুগছেন সাধারণ গ্রাহকরা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ রয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে লোডশেডিং সমস্যা তীব্র থাকার পরও অস্বাভাবিক বিল এসেছে গ্রাহকদের। এ নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ধরনা দিয়েও কোনো সুফল মেলেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার। এ গ্রাহকদের অনেকের চলতি মাসের বিদ্যুৎ বিল ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় তিন-চার গুণ বেশি সংযোজন হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
সদর উপজেলার শেরপুর বাজারের আল সৈয়দ শপিং কমপ্লেক্সের মসজিদের মে-জুন মাসে বিদ্যুৎ বিল আসে ৩ হাজার ২০০ টাকা। জুলাই মাসের বিল আসে ১৩ হাজার ৮২৯ টাকা। মসজিদ কমিটি অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো সমাধান পায়নি।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, প্রতি মাসে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার মতো বিল আসে। তবে জুলাই মাসে অস্বাভাবিক বিল আসায় কমিটি আর্থিক অনটনে পড়েছে। এ মাসের বিল পরিশোধ করা দায় হয়ে পড়েছে। দিনে অন্তত ৪-৫ দফা লোডশেডিং হয়। নামাজের সময় ৪-৫টি ফ্যান ও ৩-৪টি লাইট জ্বলে। তাও দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। এতে এত বিল কেমন করে আসে, তার হিসাব মেলানো যাচ্ছে না।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মৌলভীবাজার অফিসের ডিজিএম জিয়াউর রহমান জানান, গত মাসে লোডশেডিং থাকায় বিল কিছুটা কম আসে। এ মাসে লোডশেডিং না থাকায় ৪০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছেন গ্রাহকরা। তাই বিল কিছুটা বেশি এসেছে। কারও কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত বিলের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- বিড়ম্বনা
- লোডশেডিং
- বিদ্যুৎ বিল