ডেঙ্গু: ‘বিছানা পাতার জায়গা আছে? আগে দেখে আসুন’
রাত ১১টার দিকে মো. সাগরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার মা হাজেরা বেগম। বললেন, ওই সময় জ্বর আরও বাড়লে তাকে আর বাসায় রাখার মতো অবস্থা ছিল না; অস্থির লাগছিল, বমি হচ্ছিল।
বাধ্য হয়ে কেরানীগঞ্জের খেজুরবাগ থেকে রোববার রাতের ওই সময়ে ২০ বছর বয়সী সাগরকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে আসেন মা হাজেরা। আগেই পরীক্ষা করানোতে ছেলের ডেঙ্গু হয়েছে তা জানতেন। তখন অবস্থা ভালো ছিল দেখে বাসাতেই ছিলেন। তবে চার থেকে পাঁচ দিন ভোগার পর রোববার রাতের বেলা হুট করে অস্থিরতা শুরু হলে তড়িঘড়ি করে হাসপাতালেই ছুটে এসেছেন।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালে ঢোকার মুখে কলাপসিবল গেইটের কাছে ছেলের বিছানার কাছে বসা হাজেরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তাদের হাসপাতালে আসা ও জায়গা পাওয়ার বর্ণনা দিচ্ছিলেন।
তিনি বলেন, “জরুরি বিভাগে আনার পর চিকিৎসক সাগরকে পরীক্ষা করে ও কাগজপত্র দেখে বলেন, ‘মেডিসিন বিভাগে গিয়ে দেখেন তো কোথাও বিছানা পাতার মতো জায়গা আছে কি না বা পান কি না। যদি পান তাহলে রোগীকে ভর্তি দিয়ে দিব। স্যালাইন দিলে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে'।“
চিন্তিত মা তখন মেডিসিন ভবনের ভেতরে গিয়ে দেখেন রোগী আর রোগী, ভেতরে ঢোকার মতই জায়গা নাই- বিছানা পেতে রোগী রাখা তো দূরের কথা। পরে ভবনে ঢোকার কলাপসিবল গেইটের বাইরে দেখেন তিনজন রোগী আছেন। কথা বলে দেখলেন তারাও ডেঙ্গু রোগী। ভেতরে সিট না থাকায় সেখানেই শয্যা পেতেছেন। তিনিও সেখানে ছেলের জন্য সঙ্গে নিয়ে আসা বিছানা পাতলেন।