পাহাড়ের শহর কেন পানিতে ডুবল?
বর্ষার শেষ দিকে অগাস্টে বন্যা বাংলাদেশে নিয়মিত ঘটনা; তবে সেই বন্যা এবার দেখা গেল দেশের ভিন্ন প্রান্তে; অন্য সময় উজানের পানিতে উত্তরাঞ্চলে এমন বন্যা হলেও এবার ঢলে ডুবল পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ি শহর বান্দরবান।
কয়েক দিনের টানা বর্ষণে বান্দরবান শহর তলিয়ে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পানিবন্দি অবস্থায় ছিলেন লাখো মানুষ। পাহাড়ি ঢলে মানুষ ভেসে যাওয়া ও পাহাড় ধসে মাটিচাপার মতো ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি।
বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই, তাই নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট।
শহরে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সদর উপজেলা কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, আদালত, নির্বাচন কমিশন কার্যালয়, পাসপোর্ট ও বিআরটিএ কার্যালয় হাঁটু পানিতে তলিয়ে আছে।
সড়কে পানি ওঠায় রোববার সকাল থেকে বান্দরবান থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ির পথে বাস চলাচল বন্ধ। রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলাও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান শহরটি আশাপাশের তুলনায় নিচু স্থানে। শহরের পাশ দিয়ে সাঙ্গু নদী (শঙ্খ নদী) বয়ে চলে। রুমা ও থানচির পানি সাঙ্গুর বান্দরবান শহর অংশ হয়ে নিচে নামে।
স্থানীয়রা বলছেন, তিন দশক আগে বান্দরবান শহর অংশে সাঙ্গু নদীতে অনেক বড় বড় পাথর ছিল, নদীর দুই পাড় ছিল উঁচু। পাথর তুলে তুলে বিক্রি করা হয়েছে। নদীতে পাথর না থাকায় ঢলে নেমে আসা মাটিতে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। এতে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে।