গত ২৬ জুলাই কম্বোডিয়ার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ঘোষণা দেন, তাঁর দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছেলে হুন মানেটের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে ২২ আগস্ট। ক্ষমতা হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে সোমবার কম্বোডিয়ার রাজা নরদম সিহামনির কাছে মানেটের নাম জমা দিয়েছেন হুন সেন। সে অনুযায়ী মানেটের নিয়োগের অনুমোদন দিয়ে ডিক্রি বা আদেশ জারি করেছেন রাজা। ২১ আগস্ট সেখানে জাতীয় পরিষদের প্রথম বৈঠক হবে এবং এর পরদিনই ক্ষমতা গ্রহণ করবেন হুন মানেট। গত ২৩ জুলাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তিনি প্রায় ওয়াকওভার পেয়ে জয়লাভ করেন।
ছেলে প্রধানমন্ত্রী হলেও ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়া পিপলস পার্টির (সিপিপি) প্রেসিডেন্ট হুন সেনই থাকবেন। তিনি ২৬ জুলাই এটাও বলেছিলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় তিনি নতুন সরকারের সিদ্ধান্তে কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। কিন্তু ক্ষমতার স্থিতিশীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে পর্দার আড়ালে কাজ করবেন। তাঁর ভাষায়, ‘বুড়োরা এখনও রাজনীতি ছেড়ে দেননি। আমি এখনও ক্ষমতাসীন দলের প্রেসিডেন্ট। দলের চারজন ভাইস প্রেসিডেন্টসহ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্য রয়েছেন; যাদের কেউ জাতীয় পরিষদ সদস্য, আবার কেউ সিনেট সদস্য।’
হুন সেনের বক্তব্য থেকে সেই জোরদার অনুমানটাই সত্য হলো– আগামী দিনগুলোতে কম্বোডিয়ার শাসন প্রধানত হুন সেনের নিয়ন্ত্রণেই থাকবে। তাঁর ছেলে শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দায়িত্বেই থাকবেন। রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) সঙ্গে আলাপকালে হুন সেন বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন, হুন মানেটের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশে অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি সতর্ক করে দিচ্ছি– যদি আমার ছেলের জীবনের শঙ্কা দেখা দেয়, তখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি আবার ফিরতে পারি এবং কাজ করতে পারি।’ তাঁর ভাষায়, সে ক্ষেত্রে ‘আমি অল্প সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবো। এর পর আমি সিদ্ধান্ত নেব– পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন।’
- ট্যাগ:
- মতামত
- নতুন প্রধানমন্ত্রী
- হুন সেন
- হুন মানেত